স্বরূপ বিশ্বাসের ইগো ভাঙলেন মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যস্থতা ছাড়া উপায় নেই বলেছিল দিগদর্শন

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: বন্ধুবর সাংবাদিক বিপ্লব দাসের বাংলা বলছে চ্যানেলে পরিষ্কার জানিয়ে ছিলাম স্থানীয় নেতা হওয়ার সুবাদে স্বরূপ ভৌমিক চলচ্চিত্র কলাকুশলীদের নেতা হওয়ার সুবাদে তুঘলকি ফতোয়া জারি করে যে অচলাবস্থা নির্মাণ করেছেন সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া পথ নেই। বাস্তবে সেটাই ঘটল। আজ ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন কাউকে বয়কট করার অধিকার কারও নেই। সাংবাদিকআগে বার বার জিজ্ঞাসা করেছেন, ফেডারেশন কি আপোষে সমস্যা মেটাবেন। ফেডারেশনের সর্বেসর্বা স্বরূপ বিশ্বাস জানিয়েছিলেন ফেডারেশনের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেই সময়ে কলা কুশলীদের একাংশ শ্লোগান তুলছিলেন বয়কটের। একজন ক্যামেরাম্যান তো সুর চড়িয়ে বললেন পরিচালকদের অহংকার কিসের?

পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়ের প্রতি আর বিরূপ থাকতে পারছেন না ফেডারেশনের নেতা স্বরূপ বিশ্বাস।

আজ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী কঠোর ভাষায় জানিয়ে দেন কাউকে বয়কট করার অধিকার কারও নেই। তবে স্বরূপ বিশ্বাসের একটি যুক্তি কিন্তু অনুচ্চারিত থেকে গেল পরিচালক মহলে ডিরেক্টর গিল্ডের পক্ষে সুদেষ্ণা রায় কিন্তু ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনায় পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়ের শাস্তির বিধান দেন। পরে ঐক্যবদ্ধ পরিচালকদের দেখে ১৬০ ডিগ্রি ঘুরে পরিচালকদের পাশে দাঁড়িয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন , চাপের কাছে তিনি এমন নির্দেশ দেন। এমনকি তিনি এও বলেন, তাঁকে ভুল তথ্যদেওয়া হয়েছিল। ডিরেক্টর গিল্ডের দায়িত্বে তিনি যে ব্যর্থ প্রমাণিত হয়। পরিচালকরা বিষয়টি বুঝে চুপ করে থেকেছেন। শুধু ফেডারেশনের বিরুদ্ধে সাহসী বক্তব্য রেখেছিলেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ও কৌশিক গাঙ্গুলি। শেষ পর্যন্ত স্নায়ু যুদ্ধে জয় হল পরিচালকদের। মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার বলেছেন , ইন্দ্রনীলসেন। ও অরূপ বিশ্বাস নভেম্বরের মধ্যে সময়ের নিরিখে ফেডারেশনের নিয়ম নীতি নতুন করে বিবেচনা করে রিপোর্ট পেশ করার কথা বলা হয়েছে।

নবান্ন থেকে বেরিয়ে পরিচালকরা প্রসেনজিতের বাড়িতে বসে সিদ্ধান্ত নেন, বুধবার থেকে শুটিংয়ে ফিরছেন পরিচালকেরা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কিছুটা দিশেহারা ফেডারেশন। ম্যারাথন মিটিং করছেন তাঁরা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটাতেও ফেডারেশন এখনও জানাতে পারেনি তাঁরা কি করবেন। এটা স্পষ্ট মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ বিরুদ্ধে যাওয়ার ক্ষমতা ফেডারেশনের নেই। কাজে নামতে হবেই। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাহুল মুখোপাধ্যায়কে বয়কট করার দাবি তুলে নেওয়া ছাড়া আর কোনো পথ নেই। এখন দেখার বিষয় অরূপ বিশ্বাস কি তাঁর ভাইকে, মাও সে তুং এর সেই বাণী শোনাবেন, অতি বিপ্লবীপণা বিপ্লবের জন্য ব্যাধি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *