শ্রীজিৎ চট্টরাজ: বিশের দশকের মাঝামাঝি। ছড়াকার সুনির্মল বসু লিখলেন,,,,,, বলিয়া গেছেন তাই মহাকবি মাইকেল, যেয়ো না যেয়ো না সেথা, যেথা চলে সাইকেল। বাঙ্গালির এই সাইকেল ভীতির কারণ ঐতিহাসিক ডেভিড আর্নল্ড সূত্রে জানা যায় ,১৮৯৭ সালে সাইকেলআরোহী ব্রিটিশ কর্মচারীরা পথেঘাটে আক্রান্ত হচ্ছিলেন জনতার হাতে। ফলে সাধারণ মানুষও সাইকেল ব্যবহারে ভীত হয়ে ওঠেন।
কিন্তু বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে সাইকেল আর বড়লোকের বিলাস বস্তু যেমন রইল না, তেমন সরকারি কর্মীরাও সাইকেল থেকে মুখ ফেরালেন। ক্রমশ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সঙ্গী হলো সাইকেল।
কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত লিখলেন ,,, আমি কি করি? যা -তা হৃদয়ে ভরি , খুঁজিতে পথের ত্রুটি বাই _সাইকেলে উঠি। কোলকাতার বুকেই বঙ্গ সন্তান সুধীর কুমার সেনের উদ্যোগে গড়ে ওঠে সাইকেল নির্মাণের সংস্থা সেন র্যালে কোম্পানি। ১৯৩১ সালে ব্রিটিশ সেনা থেকে দলছুট রামনাথ বিশ্বাস সিঙ্গাপুর থেকে সাইকেল নিয়ে দুনিয়া জয়ে বেরোলেন। সর্বপ্রথম এক বঙ্গসন্তান ৫০ হাজার মাইল অতিক্রম করেন । এরপর বহূ বাঙ্গালির প্যাডেল চালনায় বাংলা হয়েছে সাইকেলপ্রেমী । আজও বাঙ্গালির বাহনে দেবতার আসনে আসীন সাইকেল। সাইকেল যে হৃদরোগ প্রতিরোধেও অব্যর্থ সেকথা রবিবার সকালে জানালো জগন্নাথ গুপ্তা ইন্সটিটিউট অফ মেডিকেল সাইন্সেস অ্যান্ড হসপিটাল কর্তৃপক্ষ।