*
দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : শুক্রবার বিকেলে কলকাতা প্রেস ক্লাবে এ ডি এস ডি প্রাইভেট লিমিটেডের দুই পরিচালক দীপ মজুমদার ও শুভেচ্ছা ঘোষ এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, মিডিয়া ট্রেনিং ও ইকো লিভিং এবং মিডিয়া শিল্পে নিয়োজিত এ ডি এস ডি সংস্থা আগামী ,৮ সেপ্টেম্বর নিউটাউনের রাজারহাটের এক সাততারা হোটেলে কনজিউমার অ্যাওয়ারনেস কনক্লেভ ও লিডারশিপ অ্যাচিভমেন্ট এ্যাওয়ার্ড প্রদানের অনুষ্ঠান করতে চলেছে। প্রধান সহযোগী রাজ্য সরকারের ক্রেতা সুরক্ষা দফতর।
আধুনিক সমাজে ক্রেতা বিক্রেতার সমন্বয়ের স্বচ্ছ ধারণা গড়ে তোলার গুরুত্ব বেড়েছে। সংস্থা একদিকে যেমন মিডিয়া ব্যবসায় যুক্ত অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে আলিপুরদুয়ারে গড়েতুলেছে ইকো ফ্রেন্ডলি ক্যারি ব্যাগ নির্মাণ। প্লাস্টিক দূষণে মানব সভ্যতা আজ সংকটে। পরিবে ভারসাম্য বজায় রাখতে রাষ্ট্রের উদ্যোগের সঙ্গে দেশের নাগরিক হিসেবেও একটা সামাজিক দায়িত্ব পালনে ব্রতী এ ডি এস ডি সংস্থা।
ভুট্টা, আলুর খোসা, আখের বর্জ্য ছিবড়ে দিয়ে তৈরি ইকো ফ্রেন্ডলি ক্যারি ব্যাগ নির্মাণ করে বিপণন করা হচ্ছে। যা ক্ষতিকর প্ল্যাস্টিক ক্যারিব্যাগের বিকল্প হিসেবে গ্রহণীয়। ন্যায্য মূল্যে এই ব্যাগের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মানুষ যত সচেতন হবেন তত মানব সভ্যতা সঙ্কটমুক্ত হবে। রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের আন্তরিক সহযোগিতায় এ ডি এস ডি সংস্থা সমাজে সাধ্যমত এক বৈপ্লবিক পদক্ষেপ নিতে সংকল্পবদ্ধ। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর কলকাতায় আয়োজিত একটি ক্রেতা সচেতনা সভা ও জীবনের লক্ষ্যে সফল ব্যক্তিত্বদের স্বীকৃতি সম্মান প্রদানের আয়োজন করা হয়েছে। এমনটাই জানালেন সংস্থার দুই পরিচালক দীপ মজুমদার ও শুভেচ্ছা ঘোষ।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ শ্রীকুমার ব্যানার্জি, রাজ্যের রাজস্ব বিভাগের আধিকারিক অনুপম হালদার, এবং সংস্থার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তনিকা সেন, সুস্মিতা ভট্টাচার্য, সব্যসাচী জানা ও দেবজিৎ সরকার। প্রত্যেকেই ক্রেতা সুরক্ষা ও সচেতনা সম্পর্কে নাগরিক অধিকার সম্পর্কে আলোচনা করেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে দিগদর্শন প্রতিনিধির প্রশ্ন ছিল, নাগরিক সচেতনার ক্ষেত্রে সংস্থার প্রয়াস প্রশংসনীয়। কিন্তু প্রশাসনের আইনি প্রেক্ষিতে দুদুটি আইন বলবৎ থাকলেও বাস্তব ক্ষেত্রে সেগুলি প্রযোজ্য হচ্ছে না। সরকারি উদাসীনতা অন্যতম কারণ। শুধু নাগরিক সচেতনা ফলপ্রসূ হতে পারে না যতক্ষণ প্রশাসন ও আইন সচেতন হবে। জবাবে অর্থনীতিবিদ শ্রীকুমার ব্যানার্জি প্রতিবেদকের যুক্তি ও তথ্যকে স্বীকার করে জানান, প্রশাসনিক স্বার্থে কিছু অনৈতিক বাধ্যবাধকতা থেকে যাওয়ায় জন সচেতনতা লক্ষ্যপূরণে গতি পাচ্ছে না।