কোল্ড স্টোরেজ মালিকেরা কুড়ি ও পঁচিশ টাকায় আলু বেচতে রাজি, রাজ্য নিচ্ছে না: অভিযোগ

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : কোল্ড স্টোরেজের জমা হয়ে আছে প্রচুর মেট্রিক টন আলু। কোল্ড স্টোরেজের মালিকেরা কিলো প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকায় আলু রাজ্য সরকারকে দিতে চায়। কিন্তু রাজ্যের সরকার নীরব। উল্টে অন্তত রাজ্যে আলু পাঠানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করে সংকট সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে অন্য রাজ্যের নতুন আলুর বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কিলো দরে। ফলে স্টোরেজে থাকা বাংলার আলু নিষ্টর হতে চলেছে। এমন অভিযোগ করলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি শুভজিত সাহা।

মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক সন্মেলনে সংগঠনের পক্ষে জানানোর হয়, রাজ্যে এমন একটা গুজবকে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে যে কোল্ড স্টোরেজের মালিকেরা আলু জমিয়ে বাজারে কৃত্তিম চাহিদা সৃষ্টি করে মুনাফা করছেন। আমরা সংবাদ মাধ্যমের মারফত জানাতে চেয়ার আমরা যে আলু পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া থেকে অন্যত্র রাজ্যে পাঠাই, সেই আলু জ্যোতি ও চন্দ্রমুখী আলুর মানের চেয়ে নিম্ন মানের। সেই আলু এই রাজ্যে কেউ নেন না। আমরা সরকারের কাছে বিষয়টা বুঝিয়ে বলেছি। কিন্তু কোনো সদর্থক সাড়া মিলছে না। এবার আলুর ফলন ভালো।তবু কেন বাজারে দাম বেশি সেটা দেখার ভার প্রশাসনের। আমাদের কোনো বিষয় নয়।

কিন্তু যে হটকারী সিদ্ধান্তে সরকার অন্য রাজ্যে আলু পাঠাতে দিচ্ছেন না, তাতে আলু চাষীরা মার খাবেন। ফলে সামনের বছর আর তাঁরা আলু চাষে উৎসাহী হবেন না। এদিকে কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলু না বেরোলে আমরা আগামী বছরের জন্য জেট রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করি সেটাও সম্ভব হচ্ছে না।ফলে আগামী বছর কোল্ড স্টোরেজে আলু রাখা নিরাপদ হবে না। এক ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি হতে চলেছে।

এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষে হাজির ছিলেন সংগঠন সভাপতি সুনীল কুমার রানা, সহ সভাপতি রাজেশের কুমার বনশাল, প্রাক্তন সভাপতি পতিতপাবন দে, তরুণ কুমার ঘোষ, গোবিন্দ কাজারিয়া, দিলীপ চ্যাটার্জি, কৌশিক কুন্ডু,জেলা কমিটির চেয়ারম্যান প্রদীপ লোধা প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *