গার্হস্থ্য হিংসা রুখতে দাবা ইন্ডিয়ার পদক্ষেপ

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : সাশ্রয়ী মূল্যে ব্র্যান্ড সমার্থক জেনেটিক ওষুধের বেসরকারি উদ্যোগের অন্যতম দাবা ইন্ডিয়া। মূল কার্যালয় সুরাটে। জোটা হেল্থ কেয়ার লিমিটেডের গ্রুপ কর্ণধার ডা: সুজিত পালের নেতৃত্বে দেশে সংস্থা বারো’শ টি কেন্দ্রে প্রায় b১ কোটি ২ লক্ষ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে গুণমানের ওষুধ বিপণন করছে। স্বাস্থ্য পরিষেবা নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষায় দাবা ইন্ডিয়ার পদক্ষেপ প্রশংসিত হচ্ছে নাগরিক সমাজে। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে দাবা ইন্ডিয়ার তরফে আয়োজিত এক সাংবাদিক সন্মেলনে জোটা হেলথকেয়ার সংস্থার কর্ণধার দেশে গার্হস্থ্য হিংসা প্রতিরোধে এক কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

গার্হস্থ্য হিংসা অনুধাবণ করতে ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সহায়ক একটি কর্মশালা আয়োজন করছে দাবা ইন্ডিয়া। জোটা হেল্থ কেয়ার লিমিটেডের গ্রুপ কর্ণধার ডা: সুজিত পাল বলেন, আমাদের লক্ষ্য, প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবায় শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা দুয়ের প্রয়োজনীয়তায় গুরুত্ব আরোপ করে। তাই সাশ্রয়ী মূল্যে ওষুধ ছাড়াও গার্হস্থ্য হিংসা প্রতিরোধে একটি অ্যাপ স্টপ ডোমেস্টিক ভাওলেন্স আনা হচ্ছে।l
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন ব্রাজিল, বাংলাদেশ, ইথিওপিয়া, সার্বিয়া, জাপান, থাইল্যান্ড, ইউনাইটেড অফ রিপাবলিক অফ তানজানিয়া, নামিবিয়া, পেরু ও সামোয়া এরকম প্রায় ১০ টি দেশের ২৪ হাজারেরও বেশি মহিলাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করে লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিন ও ন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং কয়েকটি দেশের নারী পরিচালিত সমাজসেবী সংস্থা। সবক্ষেত্রেই প্রমাণিত হয়েছে শিশু, নারী ও প্রবীণরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হন বাড়িতেই। তবে ভারতে এই ধরণের হিংসায় আইনি সুরক্ষা মেলে পুরানো আই পি সি এ ধারায়। থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনের সমীক্ষায় বলা হয়েছে বিশ্বেরa সবচেয়ে বিপদজনক দেশের তালিকায় ভারত প্রথম সারিতে।

অথচ ভারতের ৪৫ শতাংশ মহিলাই মনে করেন বিভিন্ন কারণে স্ত্রীকে মারা বা অত্যাচার করা অস্বাভাবিক নয়। অন্যদিকে শতকরা ৪৪ জন পুরুষ মনে করেন গার্হস্থ্য হিংসা কোনো অপরাধ নয়। সুতরাং প্রতিরোধ পরিকল্পনায় জোর দেওয়া দরকার নাগরিক সচেতনতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *