
পর্ব : ৩ ,( শেষ পর্ব)

বিজেপির রানাঘাটের প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের সম্পদ মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকা।
দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: গত পর্বে জানিয়েছি , চতুর্থ পর্বের নির্বাচনে বাংলার প্রথম তিন ধনী প্রার্থীর কথা। প্রথম তিনি আর্থিক দূর্বল প্রার্থীদের তালিকাটা দেখা যাক। রাণাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার যে তথ্য দিয়েছেন তাতে দেখা যাচ্ছে* তাঁর মোট সম্পদ ৩,৫৮৭ টাকা। দ্বিতীয় স্থানে বহরমপুর কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী বিশ্বম্ভর কালিতা। মোট সম্পদ ১৫,৭৪৫ টাকা। তৃতীয় স্থানে ওই কেন্দ্রেরই আরেক নির্দল প্রার্থী সমীরণ দাস। তাঁর সম্পদ ৪০,২০০ টাকা।বাংলার মোট প্রার্থীর ৭৫ জনের (৩৯ শতাংশ) ভাগ্য নির্ধারণ হবে চতুর্থ দফায় নির্বাচনে। যা অনুষ্ঠিত হবে ১৩ মে।মত প্রার্থীদের ২৯ জন যে তথ্য দাখিল করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে নিরক্ষর প্রার্থী ১ জন, শুধু সাক্ষর ২ জন , পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছেন ১ জন , অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছেন ৬ জন, মাধ্যমিক পাশ ১০ জন,উচ্চ মাধ্যমিক পাশ ১২ জন ও স্নাতক ২১ জন। স্নাতক পেশাদার ৯ জন, স্নাতকোত্তর ১০ জন, ডক্টরেট ২ জন, ডিপ্লোমা ১ জন। বয়সের তথ্য বলছে,২৫/৩০ বছর বয়সী প্রার্থী ২ জন,৩১/৪০ বছর বয়সী ১৪ জন,৪১/৫০ ১৮ জন,৫১/৬০ ১৯ জন ,৬১/৭০ ১৮ জন ৭১/৮০৪ জন।

চতুর্থ দফায় বাংলায় ৭৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জন অপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত।
অপরাধের তালিকাটা দেখা যাক। চতুর্থ দফার নির্বাচনে ৮ টি কেন্দ্রের ৭৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জন নিজেদের বিরূদ্ধে থাকা ফৌজদারি মামলার তথ্য দিয়েছেন। তৃনমূলের ৮ জন ফৌজদারি মামলা ৩। গুরুতর মামলা ২ শতাংশের হিসেবে ২৫ শতাংশ। বিজেপির ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪ জন ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত,৪ জন গুরুতর মামলায় অভিযুক্ত। সি পি এমের ৬ জনের ৪ জন অভিযুক্ত। গুরুতর মামলা নেই। কংগ্রেসের ,২ জনের ১ জন ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত, তিনি গুরুতর মামলাতেও অভিযুক্ত। নির্দলীয়২২ জনের একজন অভিযুক্ত। গুরুতর মামলার সংজ্ঞা যে অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছর। জামিন অযোগ্য অপরাধ। নির্বাচনী অপরাধ , যেমন ঘুষ বেদেওয়া, বেআইনি অস্ত্র সঙ্গে রাখা, রাজস্বের ক্ষতি করা , জন প্রতিনিধিত্ব আইন লংঘন করা , দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের অধীনে অপরাধ ও মহিলাদের বিরূদ্ধে অপরাধ।
( শেষ)