*******
দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: ২০১৭ সালে ১২ সেপ্টেম্বর ভারতীয় মান ব্যুরো ভোক্তা বিষয়ক দফতরের অধীন, ভোক্তা বিষয়ক খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রকের আওতায় কাজ করে চলেছে। সংস্থাটি দেশের জাতীয় মান সংস্থা, যা ভারতীয় মান প্রণয়ন , সম্মতি মূল্যায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন , পণ্য ও ব্য ব্যবস্থা শংসাপত্র, সোনা ও রুপোর গয়নার হলমার্কিং , গবেষণাগারে পরীক্ষায় মান নির্ণয়ের পরিষেবা ও বিভিন্ন পণ্য উৎপাদকদের গুণগত মান উন্নয়নের সংস্কৃতি প্রচারের দায়িত্ব পালন করে।
১৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ব মান দিবস ২০২৫ উপলক্ষে সংস্থার কর্মপদ্ধতি ও পরিষেবা সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের জন্য বুধবার সেক্টর ফাইভের নিজস্ব কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে ভারতীয় মান ব্যুরোর কলকাতা শাখা। সংস্থার পক্ষে বক্তব্য রাখেন আধিকারিক সব্যসাচী ধর ও যুগ্ম অধিকর্তা মৈনাক গাঁতাইত। গত আর্থিক বছরের সংস্থার কলকাতা শাখা রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মান ও পণ্যের গুণমান প্রচারের জন্য বেশ কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করে।
পশ্চিমবঙ্গে দু চাকার যানবাহনের চালক ও আরোহীর উভয়ের জন্য আই এস আই চিহ্নিত হেলমেট পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রাজ্য পরিবহণ দফতরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বি আই এস ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর একটি বিশেষ হেলমেট সচেতনতা অভিযান পরিচালনা করে। যেসব দু চাকা যানের চালক ও সহযোগী আরোহীর বিনা আই এস আই হেলমেট ব্যবহার করতে দেখা যায়, তাঁদের আই এস আই চিহ্নিত নিরাপদ হেলমেট বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। বছরের শুরুতে ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্য পর্যায়ের একটি কমিটির সভা মুখ্যসচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রাজ্যে পণ্যের গুণমান মানদণ্ডের বাস্তবায়ন ও বাস্তুতন্ত্রের প্রসারে একটি ইতিবাচক প্রচারের আলোচনা হয়।
প্রধান সরকারি দফতরের কর্মকর্তাদের একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সেই কর্মসূচিতে জনস্বাস্থ্য দফতর, খাদ্য সরবরাহ দফতর ও আই সি ডি এস আই দফতর যোগ দেয়। নেতাজি সুভাষ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যৌথভাবে প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ রূপরেখায় পণ্যের মানউন্নয়নে গুণমানের প্রয়োজনীয় ধারণা সংযুক্ত করা হয়। ভোক্তা বিষয়ক দফতরের কর্মকর্তাদের জেলার, শহর ও প্রত্যন্ত গ্রামে বি এস আই প্রত্যয়িত পণ্য সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য একটি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয।
বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ ভোক্তা বিষয়ক দফতরের যৌথ উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ভোক্তারা বি এস আই প্রত্যয়িত পণ্য, হলমার্ক গয়না এবং বি এস আই কেয়ার অ্যাপের মাধ্যমে পণ্যের মানের সত্যতা সম্পর্কে অবহিত হয়ে ক্রয় করতে পারবেন। সংস্থার পক্ষে সব্যসাচী ধর জানান , এম এস এম ই প্রতিষ্ঠানগুলি শংসাপত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে পরীক্ষণ সুবিধা ও দেয় মূল্যে এক লোভনীয় ছাড় দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকারের এম এস এম ই ও বস্ত্র দফতরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বি আই এস সিনার্জি বিজনেস ফ্যাসিলিটেশন কনক্লেভ ও বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট এ অংশগ্রহণ করেছে, যেখানে শিল্পক্ষেত্রে বি আই এস সার্টিফিকেশন সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
জেলা পর্যায়ের শিল্পকেন্দ্রে জেনারেল ম্যানেজারদের সঙ্গে মিলিত হয়ে স্থানীয় শিল্প ক্লাস্টার যেমন জুতো নির্মাতা, পিতল শিল্পী ও আসবাব নির্মাতাদের মধ্যে বি আই এস শংসা বিষয়ের সুবিধা ও এম এস এম ই -দের পত্র জন্য উপলব্ধ ছাড় সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করছে । সংস্থার যুগ্ম অধিকর্তা মৈনাক গাঁতাইত বলেন, রাজ্যের পাঁচটি শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মানদণ্ড ও সম্মতি মূল্যায়ন বিষয়ে সহযোগিতার জন্য বি আই এস সমঝোতা স্মারক মৌ সাক্ষর করেছে। রুপোর গয়নার ক্ষেত্রেও একটি মান নির্ণয়ক ব্যবস্থার গ্রহণ করা হলেও এই মুহূর্তে আবশ্যিক করা হয়নি। এই ধারাবাহিক কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে দেশে একটি শক্তিশালী মান ও গ্রাহক সচেতনতায় সাফল্যের সাক্ষর রেখে চলেছে সংস্থার কলকাতা শাখা।