দিগদর্শন ওয়েবডেস্ক: মমতা ব্যানার্জি শুধু আমার দিদি নন, তিনি আমার ভগবান। কিন্তু দল হাওড়ায় একটা বাজে লোক প্রসূন ব্যানার্জি টিকিট দিয়ে হাওড়াবাসীদের মনে ব্যথা দিয়েছে। ক্লাস ফাইভের যোগ্যতা যার নেই তাকে স্নাতক কর দেওয় হয়েছে। তিনি এক খেলার সভায় আমাকে ঘাড ধাক্কা দিয়ে অপমান করেন। পার্টিতে জানিয়েও সবসময় বিচার মেলে না। আমি জানি দিদি আপত্তি করবেন তবু আমি বাধ্য হয়ে প্রসূনের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়াতে মনস্থ করেছি। যে লোকটা নিজের কেন্দ্রে মানুষের সঙ্গে মেশেন না, এমপি ল্যাডের টাকা খরচ করতে পারেন না তাঁকে আবার টিকিট দেওয়া ভুল হয়েছে। দলে অনেক যোগ্য লোক ছিল। তাঁদের যোগ্যতার মূল্যায়ণ হলো না। আমি অতৃপ্ত, কিন্তু দিদি যতদিন আছেন ততদিন দল ছাড়ছি না। ১৯৮০ থেকে দলে দিদির অনুগত সৈনিক। কিন্তু প্রার্থী নির্বাচনে দলের এই ভুল মেনে নিতে পারছি না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, নির্দল হয়ে যদি হাওড়া কেন্দ্রে বাবুন ব্যানার্জি প্রার্থী হতেন দলের বহুকর্মী তাঁর হয়ে প্রচার করতেন। ফলে বিজেপি বিরোধী ভোট দুই তৃণমূল প্রার্থী আর বাম প্রার্থীর মধ্যে ভাগ হয়ে গেলে বিজেপির জনপ্রিয় হোমিও চিকিৎসক রথীন চক্রবর্তীর জয় সহজ হয়ে যেত। তাছাড়া ঘরে বিদ্রোহ আখেরে তৃণমূল দলের পক্ষে অনেকটাই ক্ষতিকারক। অনেকের চাপা ক্ষোভ বিদ্রোহ হয়ে ভোটের মুখে তৃণমূল দলে অস্বস্তির কারণ হবে। ইতিমধ্যেই হুমায়ুন কবীর, অর্জুন সিং, সায়ন্তনী ঘোষ, শান্তনু সেনসহ কয়েকজন তাঁদের অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। কালীঘাট সূত্রের খবর অভিষেক ও বাবুন ব্যানার্জির সম্পর্কও যে খুব মধুর বলা যাবে না। অভিমানী বাবুন এও বলছেন কুণাল যা বলে সাত খুন মাফ। আমি বললেই যত দোষ?