এশিয়ার বৃহত্তম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সি বি এস ই পরীক্ষায় সাফল্যের নজির গড়ল শ্রী চৈতন্য টেকনো স্কুল

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : ১৯৮৬, অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলার আঙ্গালুরু গ্রামের বাসিন্দা অনেক স্বপ্ন নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশে প্রথম স্কুল গড়েন ছোট্ট প্রচেষ্টায়। সঙ্গিনী ছিলেন স্ত্রী ঝানসি লক্ষ্মী বাঈ। কালের নিয়মে দুজনেই আজ প্রয়াত। কিন্তু তাঁর নিষ্ঠা ও সততায় সেই একটি স্কুল আজ মহীরুহ।
দেশ জুড়ে ৩৫০টি শাখা । পশ্চিমবঙ্গে ৯ টি। মোট ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১০ লক্ষ। ৩৯ বছরের পথ পরিক্রমায় সাফল্যের এক নাম সি বি এস ই অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শ্রী চৈতন্য টেকনো স্কুল। বৃহস্পতিবার সকালে বেলুড় মঠের ঘুসুরিতে স্কুল প্রাঙ্গনে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর নজরকাড়া সফল ছাত্রছাত্রীদের সম্বর্ধনা জানানো হয়। দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় সবার সেরা ফল করেছে মুক্তাংশ মহাপাত্র। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৯৮.৪ শতাংশ। দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় সবার সেরা ফল করেছে ঋষিকা মণ্ডল। তাঁর নম্বরের প্রাপ্ত শতাংশ ৯৬ । দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় স্কুলের মোট ২৮ জন ছাত্রছাত্রী ৯০ শতাংশ ও তার বেশি নম্বর অর্জন করেছে। দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় ৯০ শতাংশ ও তার বেশি নম্বর অর্জন করেছে ১৮ জন ছাত্রছাত্রী।

স্কুলের রাজ্য শাখার এ জি এম রবি কিরণ কাদম্বালা জানান, স্কুলের এই সাফল্যে আমরা গর্বিত। ছাত্র শিক্ষক ও অভিভাবকদের যৌথ প্রচেষ্টায় এই সাফল্য আমরা অর্জন করেছি। আমাদের স্কুলের সাফল্যের মূলমন্ত্র শুধু শিক্ষকতা নয়। আমরা ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করি , নিজেদের নিষ্ঠা ও একাগ্রতায় তারা যেন অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে।আমরা আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থারসব ধরণের পরিকাঠামো দিয়ে ছাত্র নির্মাণ করি। স্কুলের পরিচালক শ্রীমতী সীমা বলেন, আমরা প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে আলাদা করে পর্যবেক্ষণ করি। অত্যাধুনিক শিক্ষাক্রমের উপযোগী বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন সি আই পি এল, আই পি এল, এম পি এল, আইকন, সি – ব্যাচ, মেডিকন, এস- ব্যাচ ও টেকনো, প্রাথমিক স্তরের শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় নির্মাণ করি। স্কুলের এই সাফল্যে শিক্ষক শিক্ষিকাদের ঐকান্তিক দায়বদ্ধতা। ছাড়া সম্ভব নয়। অন্যতম পরিচালক নগেন্দ্র সফল ছাত্রছাত্রীদের ও তাঁদের অভিভাবকদের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান ও স্কুলের শিক্ষকমন্ডলীর অবদানের প্রশংসা করেন। প্রথম বছরের দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় এই আশাতীত সাফল্যে স্কুল এক নজির সৃষ্টি করেছে। কৃতি ছাত্রছাত্রীদের হাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ স্মারক ও শংসাপত্র তুলে দিয়ে তাঁদের আগামী ভবিষ্যতে আকাশছোঁয়া সাফল্যের কামনা করেন। কৃতি ছাত্রছাত্রী ও তাঁদের অভিভাবকরা স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের আন্তরিকতার প্রশংসা করেন। স্কুলের তরফে এ জি এম রবি কাদম্বালা জানান, স্কুলের আরও তিনটি শাখা এরাজ্যে সোনারপুরে, আসানসোলে ও কল্যাণীতে গড়ে উঠতে চলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *