*****
দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : কেন্দ্রে বিজেপি সরকার। রাজ্যে রাজ্যে গৈরিক পতাকার উত্থান। রাজনীতির আড়ালে থেকে আর এস এস , হিন্দু মহাসভা, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ হিন্দুত্বের প্রসারে বিজেপির হাত শক্ত করার কাজ করে চলেছে। বাংলায় ক্ষমতা দখলে এখন বিজেপি শুধু ভোট রাজনীতির খেলায় নেই, হিন্দুত্বের মোড়কে হিন্দু রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন পন্থা নিচ্ছে।
১৯৭৪ সালে সৃষ্টি হলেও এবার কলকাতায় আবির্ভাব হয়েছে অখিল ভারতীয় গ্রাহক পঞ্চায়েত ( পশ্চিমবঙ্গ) সংগঠনের। সম্প্রতি যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার পক্ষে কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের ও কেন্দ্রীয় স্তরের সাংগঠনিক কর্তারা সাংবাদিকদের জানালেন বাজারে গ্রাহকেরা ক্রেতা হিসেবে বঞ্চিত । তাঁদের জাগরণ ঘটাতে হবে।
প্রশ্ন ওঠে কেন্দ্রীয় প্রশাসনের পক্ষে ও রাজ্য প্রশাসনের পক্ষে গ্রাহক উপভোক্তা বিভাগ আছে, তারপরে এই বেসরকারি উদ্যোগ কেন? একি কেন্দ্রীয় বিভাগের ব্যর্থতা ঢাকতে? নাকি গ্রাহক বন্ধুর বেশে জনসংযোগ বাড়াতে? জনসংযোগ বাড়াতে চাওয়ায় কোনো দোষ নেই । কিন্তু হিন্দু রাষ্ট্র গঠনে বিজেপির পতাকার নিচে যাঁরা নেই তাঁদের দৈনন্দিন সমস্যায় প্রলেপ দিয়ে তাঁদের কাছাকাছি যাওয়ার এক সুপরিকল্পনা কতটা ফলপ্রসূ হবে সেটা বোঝা যাবে ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের সময়।
পাশাপাশি ও টি টি প্ল্যাটফর্মে ও ডিজিটাল মিডিয়ায় যে সাইবার ক্রাইম হচ্ছে এবং যে বিকৃত তথ্য পরিবেশন হচ্ছে তার রাশ টানার একটা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার কথাটা উল্লেখ করা হয়। সুতরাং বাজারি মূল মিডিয়ার মালিক পক্ষ শাসক দলের ধামা ধরেন নিজের স্বার্থে। সঙ্গে বিজ্ঞাপনের নামে উৎকোচ । ভয়টা ডিজিটাল মিডিয়ার শিরদাঁড়া বিক্রি নেই লোকগুলোকে নিয়ে। এই সাংবাদিক সন্মেলনের মূল উদ্দেশ্য কি? সমজদারো কে লিয়ে ইশারাই কাফি হ্যায়।