দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : গার্ডেনরিচ কাণ্ডে রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশ যখন অস্বস্তিতে তখন বেহালার ১৩২ নং ওয়ার্ডে পুকুর বুজিয়ে ভরাট করার পেছনে পুলিশ কত ঘুষ খেয়েছে বেহালা পর্ণশ্রী থানার পুলিশ আধিকারিকদের প্রশ্ন করলেন সি পি এম নেতা কৌস্তুভ চ্যাটার্জি। রীতিমতো ধমকের সুরে তিনি বলেন, দিনেদুপুরে জলের পাম্প বসিয়ে পুকুরের জল তুলে জমি ভরাটের যে দুর্নীতি চলছে , পুলিশ কেন নীরব দর্শক? কত টাকা ঘুষ খেয়ে পুলিশ উদাসীন?
ইতিমধ্যে পুকুরের এক তৃতীয়াংশ ভরাট হয়ে গেছে। বেহালা অঞ্চলের ১৩১ নং ওয়ার্ডের ৭৫ ,বনমালী নস্কর এলাকার পুর প্রতিনিধি প্রাক্তন মেয়র শোভন চ্যাটার্জির প্রাক্তন স্ত্রী রত্না চ্যাটার্জি। তিনি বেহালা বিধানসভার বিধায়কও। সি পি এম নেতা কৌস্তুভ চ্যাটার্জির অভিযোগ পুর প্রতিনিধি ও বিধায়কের সংযোগেই জমি ভরাট চলছে। পুলিশ তাই নিশ্চুপ। সাড়ে চার বিঘা পুকুর ভরাটের কর্মীরা সি পি এম সমর্থক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিরোধে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় থানায় ডেপুটেশন দেওয়া হয়। গোটা কলকাতা জুড়ে শাসক দলের প্রশ্রয়ে জলাশয় ভরাট চলছে বিরোধীদের দাবির অন্যতম নমুনা এই ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতে ডাম্পার বসিয়ে জমি ভরাট হয়। এলাকার আরও কয়েকটি পুকুর বুজিয়ে ইতিমধ্যেই কয়েকটি বাড়ি তৈরি হয়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা হিসেবে থানায় অভিযোগ জানানোয় প্রোমোটারের লোকজন আমাদের বিরুদ্ধেই থানায় এফ আই আর করেছে।