*
দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : আধুনিক বীমা প্রকল্পে এক পৌরাণিক ধারণা লিপিবদ্ধ আছে মনু স্মৃতি, যাজ্ঞবল্ক্যের ধর্মশাস্ত্রে ও কৌটিল্যের অর্থ শাস্ত্রে। বন্যা, খরা, মহামারী ও দুর্ভিক্ষে দুর্যোগে নাগরিককে খাদ্য বণ্টনে বছর ভর সঞ্চয়ের ব্যবস্থার উল্লেখ আছে। যাকে বীমা ব্যবস্থার আদি পর্ব বলা যায়।১৮১৮ সালে কলকাতায় প্রথম ওরিয়েন্টাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী প্রতিষ্ঠা হয়। যদিও প্রথমসে আবির্ভাব কয়েক বছরের মধ্যে ব্যর্থ হয়।পরবর্তী সময়ে ভারতে বিদেশি বীমা কোম্পানি ব্যবসা শুরু করে। অ্যালবার্ট, রয়েল লিভারপুল , লন্ডন গ্লোব ইত্যাদির। দেশীয় বিমার কোম্পানির সঙ্গে একটি প্রতিযোগিতায় শুরুতে হয়।
১৯০৫এ বীমা ব্যবসা জাতীয়করণ হয়ে ক্রেতা স্বার্থে সুরক্ষিত করতে সময়ের ফারের উদারনীতির প্রচলনে এখন দেশি বিদেশির বহু বীমা কোম্পানি ভারতে ব্যবসা করছে। বাংলা ব অক্ষরটির এক বৈশিষ্ট্য আছে। ব এ ব্যাঙ্ক। ব এ বাঙালি। ব্যাংকের নির্মাণ ভারতে ব্রিটিশের হাতেই। সেই ব্যাঙ্কের নামও ছিল ব্যাঙ্ক অফ বেঙ্গল। ২১ এর দশকের শুরুতে আর এক বাঙালি চন্দ্রশেখর ঘোষের হাতে গড়ে ওঠে বেসরকারি ব্যাঙ্ক বন্ধন ব্যাঙ্ক। ব এ বন্ধন। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত অংশের মানুষদের ক্ষুদ্র ঋণ ও নারী ক্ষমতায়নকে আর্থিক স্বনির্ভর গড়তে পরিক্রমা। এরপর ব্যাঙ্ক নির্মাণ ২০১৫ সালের ২৩ আগষ্ট।এই মূহূর্তে দেশীয় ৩৬ টাইট প্রদেশে বিস্তৃত হয়েছে। শাখার সংখ্যা প্রায় ৬৩০০। ব্যাঙ্কের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৩.৪৪ কোটি। আমানত সংগ্রহ ১.৩৩ লাখ কোটি।
বৃহস্পতিবার মধ্য কোলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে বন্ধন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ঘোষণার করলেন বন্ধন লাইফের নামের বীমা প্রকল্প। পশ্চিমবঙ্গের ২৫৯টি শাখায় মিলবে বীমা প্রকল্প ।একট মিনিটের মধ্যে বীমায় যুক্তিত হতে পারবেন গ্রাহকেরা। আগামী সপ্তাহের মুক্তি পাবে শুভ সমৃদ্ধিও নতুন কিছু সঞ্চয় প্রকল্প। দেশব্যাপী এই প্রকল্প চালু হবে চলতি বছরের শেষে। বন্ধন লাইফ বিমার একটি নিশ্চিত নিরাপত্তা। সংস্থার শ্লোগান আই গ্যারেন্টি বিশ্বাস। জীবনভর প্রকল্পের শেষে মিলছে ১০ গুনু ফেরৎ। বার্ষিক মাত্র ৩ হাজার টাকার প্রিমিয়ামে এই বীমা গ্রহণ করা যায়।
এই সম্পর্কে সাংবাদিক বঠকের বিস্তারিত জানালেন সংস্থার এম ডি ও দি ই ও সতিশ্বরি বি, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও চিফ বিজনেস অফিসার রাজেন্দ্র কুমার বাব্বর, চিফ বিজনেস অফিসার ব্যাঙ্ক ইন্সুরেন্স লাইফ ইন্দ্রনীল দত্ত। অতীতের এগন লাইফ অধিগ্রহণ করেছে বন্ধন ব্যাংক। বন্ধন লাইফ বিমার্ট লক্ষ্য দেশের অধিকাংশ মানুষেরই জীবনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পরিষেবা দেওয়া। এই লক্ষ্যে উচ্চারিত হচ্ছে ভারত কি উড়ান, বন্ধন সে।