দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : শিক্ষা আনে চেতনা। চেতনা ঘটায় বিপ্লব। সেই বিপ্লব সমাজ নির্মাণের। এই উপলব্ধি থেকেই বিদ্যাসাগর বলেছিলেন, বিদ্যা হল সবথেকে বড় সম্পদ, বিদ্যা শুধু আমাদের নিজেদের উপকার করে না বরং পরোক্ষভাবে গোটা সমাজের সাধন করে। দেশের প্রশাসন নাগরিক শিক্ষার ক্ষেত্রে সক্ষম নয়। উপরন্তু জিডিপির মাত্র তিন শতাংশ শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দ করে। স্বাভাবিকভাবেই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধির কাছে।
এই মূহূর্তে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিচু স্তর থেকে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্যের এক ধারাবাহিক প্রমাণ রেখে চলেছে আকাশ এডুকেশনাল সার্ভিসেস লিমিটেড। পশ্চিমবঙ্গে এখন চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আকাশ ইনস্টিটিউটের ১২ টি ক্লাসরুম সেন্টার । কলকাতা উত্তর , দক্ষিণ,হাওড়া, ব্যারাকপুর, দুর্গাপুর, বাঁকুড়া, খড়গপুর ও শিলিগুড়ি। সোমবার সকালে এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানের এম ডি ও সি ই ও দীপক মেহরোত্রা জানালেন,অগণিত শিক্ষাবর্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গে সাতটি নতুন লার্নিং সেন্টারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হল। উত্তরে ডানলপ দক্ষিণে বেহালা ছাড়াও আসানসোল, বর্ধমান, বহরমপুর, মালদা ও কোচবিহারে অতিরিক্ত শিক্ষাকেন্দ্র শুরু হচ্ছে।
মূলত নিট ও জেইই পরীক্ষার প্রস্তুতি পরিষেবায়জাতীয় স্তরে আকাশের এই উদ্যোগেকে সংস্থার সম্প্রসারণ বলে উল্লেখ করে চিফ স্ট্যাটেজি অফিসার অনুপ আগরওয়াল বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রছাত্রীরা ধারাবাহিকভাবে নিট ও জেইই পরীক্ষায় সাফল্যের শীর্ষে আছে। এখন কোচিং নিতে গ্রামাঞ্চলের ছাত্রছাত্রীদের আর পারিবারিক বন্ধন উপেক্ষা করে শহরের নতুন পরিবেশে আসতে হবে না। বাড়ি বসেই নিজের মাতৃভাষায় এই কোর্সের পাঠ নিতে পারবে।
চিফ একাডেমিক ও বিজনেস হেড ধিরাজর মিশ্র বলেন, আকাশ এমন এক শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক কোচিং প্রদান করে যার বৈশিষ্ট হল শিক্ষণ পদ্ধতির গুণগত মান বজায় রাখা। ছাত্রছাত্রীদের এই বিজ্ঞানসম্মত প্রযুক্তিনির্ভর পাঠক্রমের পৌঁছে দেওয়ার আগে শিক্ষকদেরও একটি ট্রেনিং হয়। এটি একটি প্রচেষ্টা । আগামীদিনে প্রচেষ্টাটি যদি সফল হয় তাহলে আরও বিস্তৃতি ঘটানো হবে শুধু এরাজ্যে নয় দেশের সর্বত্র।