*
শ্রীজিৎ চট্টরাজ : বাংলায় গ্রামোফোন বস্তুটির সঙ্গে প্রথম পরিচয় করিয়েছিলেন এ ডব্লিউ গেই বার্গ। সময়টা ছিল ১৯০২। শিল্পী গওহরজানকে দিয়ে মোমের রেকর্ডে সঙ্গীত গ্রহণ করেন। অচীরেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে কলের গান। ব্যবসায়ী বঙ্গ সন্তান হেমেন্দ্রমোহন বসু ১৯০০ সালে ফোনোগ্রাফ রেকর্ডিং মেশিন সংগ্রহ করে প্রথিতযশা ব্যক্তিত্বদের কণ্ঠস্বর রেকর্ড করা শুরু করেন। গড়ে তোলেন রেকর্ড কোম্পানি। দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপণ হয় সুখী গৃহকোণ শোভে গ্রামোফোন । পুজোর গান হিসেবে পরিচিত না হলেও ১৭ টি গানের বাংলা গানের রেকর্ড প্রকাশিত হয় ১৯১৪ সালে। মোহাম্মদ কাশেম মল্লিক এইচ কে মল্লিক নামে আগমনী গান রেকর্ড করেন। এরপর থেকে বাংলা গানের রেকর্ডের সংখ্যা যেমন বাড়তে থাকে তেমন চাহিদাও বাড়তে থাকে।৬০ এর দশকে স্বর্ণযুগের শুরু।
এরপর থেকে গঙ্গায় জল যত বইতে থাকে তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বিজ্ঞানের অবদানে ৭৫ আর পি এম , ই পি লং প্লেয়িং এর যুগ পেরিয়ে ক্যাসেট সিডির পর এখন ডিজিটাল যুগে শব্দ গ্রহণ। মুঠো ফোনে লাখ লাখ গান। গান রেকর্ডিং এখন প্রযুক্তির সাহায্যে হাতের মুঠোয়। কিন্তু এর নেতিবাচক দিকটিও অস্বীকারের উপায় নেই। ইউটিউবের দৌলতে গান এখন সর্বজনীন। এই মুহুর্তে গানের জগতে নতুন অতিথি কলম্বাস ডিজিপ্লেক্স। সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতায় একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় শ্রাবণ সন্ধায় জড় হলেন পণ্ডিত দেবজ্যোতি বোস (টনি), পরিচালক জিত চক্রবর্তী, সঙ্গীত পরিচালক পিনাকী বোস। এসেছিলেন সঙ্গীতশিল্পী সোমলতা আচার্য, উজ্জয়িনী মুখার্জি, তীর্থ ভট্টাচার্য, শমীক , আসমানী, সৌরভ ও স্নেহেন্দু চিলেন।
কলম্বাস ডিজিপ্লেক্স এর পরিচালক সুকন্যা গুপ্তা বলেন শক স্টুডিও একটি অগ্রণী উদ্যোগ। সংস্থার বৈশিষ্ট্য , আমরা শুধু গতানুগতিক নতুন ও প্রতিষ্ঠ শিল্পীদের দিয়ে গান তৈরি করছি তা নয়, নতুন পরীক্ষানিরীক্ষা করে ফিউশন সঙ্গীত নির্মাণ করছি। রবীন্দ্রসঙ্গীতের সঙ্গে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, লোকগীতির সঙ্গে ভজন এবং শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সঙ্গে সমকালীন আধুনিকতার মেলবন্ধন করছি। আমাদের শিল্পী তালিকায় আছেন নচিকেতা, শোভন, সোমলতা, ইমন , মনোময়, সৈকত মিত্র, পিনাকী বোস প্রমুখ। শক স্টুডিও কলম্বাস ডিজিপ্লেক্সের ইউটিউব চ্যানেল ও প্রধান প্রধান অডিও প্ল্যাটফর্ম যেমন গানা, সাভন, স্পটিফাই, উইঙ্কইত্যাদিতে পাওয়া যাবে। সাংবাদিক সম্মেলনে সংস্থার সঙ্গীত মুক্তি হয় ডিজিটাল পর্দায় প্রদর্শন করে।
ছবি: রাজেন বিশ্বাস