সুজিৎ চট্টোপাধ্যায় : এবারের রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষ্যে বিশ্বের হিন্দু বাঙালিদের এক বিরাট অংশ পুরীতে গেছেন জগন্নাথদেবে দর্শনে। হবে নাই বা কেন? কথিত আছে রথের রশি একবার টানলে পুনর্জন্ম হয় না। কলি যুগে রথের দড়ি স্পর্শ করা অর্থ সত্যযুগের অশ্বমেধ যজ্ঞের পুণ্যফল অর্জন। রথের চাকা যখন গড়ায়, যে শব্দ হয় তাকে বলে বেদ। অর্থাৎ বেদপাঠের পুণ্য লাভ। পুরীর রথের চাকার দাগের ধুলো মাখলে গঙ্গা যমুনা সরস্বতী নদীর স্নানের পূণ্য অর্জনের সমান হয়। চৈতন্য মহাপ্রভুর পদধূলি ধন্য বাংলার মানুষে দ্বিতীয় ঘরবাড়ি পুরী। মূলত দুটি আকর্ষণ । এক,পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দির। দুই,পুরীর আকর্ষণীয় সমুদ্রতট। কিন্তু বাঙালি প্রথম কবে পুরীতে গেল? সেইরকমভাবে ঐতিহাসিক সূত্র নেই। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার , চৈতন্যদেব পুরীতে যাওয়ার আগে বাঙালির পুরীর প্রতি কোনো আকর্ষণ ছিল না। বাংলাতে রথযাত্রারও কোনো প্রমাণ মেলেনি। বরং তৎকালীন ইতিহাস রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে পর্যালোচনা করে ঐতিহাসিকরা মনে করছেন,ভক্তিতে নয়,পুরীতে বাংলার মানুষ গিয়েছিল প্রাণ বাঁচাতে। কি সেই ঘটনা?
বৃষ্টিতে কৃষ্ণের আধপোড়া মরদেহ কালো পাথরে রূপান্তরিত হয়ে পুরীর সমুদ্র তটে পৌঁছায়। এমনই পুরাণ কথা।
বাঙালির পুরী যাত্রার কাহিনী শোনার আগে জেনে নিন,পুরীর মন্দিরের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। পুরাণ বলে, দ্বাপর যুগে জনৈক শবর ব্যাধের তীরের আঘাতে অপঘাতে মৃত্যু হয় শ্রীকৃষ্ণের। সখা অর্জুন দৈবাদেশে শ্রীকৃষ্ণের নশ্বর দেহ ভাসিয়ে দেন সাগরে। অনুতপ্ত শবর ব্যাধ সাগরের তীর ধরে শ্রীকৃষ্ণের ভাসমান দেহকে অনুসরণ করে পৌঁছে যান কলিঙ্গের নীলাচলে। সেখানে শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছায় কালো পাথরের পরিণত হওয়া দেহটি প্রতিষ্ঠা করে পুজো শুরু করেন। এভাবেই কেটে যায় দ্বাপর যুগ । কলিযুগে কলিঙ্গরাজ ইন্দ্রদ্যুম্ন বিশ্ববসু শবরের জিম্মা থেকে নীলমাধব প্রস্তর খণ্ডটি নিয়ে এসে সদ্য তৈরি মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর কী করে জগন্নাথ মূর্তির তৈরি হলো সেই আখ্যানে যাচ্ছি না। সবাই জানেন। বলা হয়, একাদশ শতকে গঙ্গাবংশীয় রাজা অনন্তবর্মণ বর্তমান মন্দির স্থাপন করেন। আমরা বরং বাঙালির পুরী আগমন প্রসঙ্গে ফিরে যাই।
বাংলার নবাব হোসেন শাহ
বাংলায় তখন হুসেন শাহের আমল। বৌদ্ধ ধর্মের শেষ অবস্থা। হিন্দু আগ্রাসনে বৌদ্ধ হত্যা চলছে ভারত জুড়ে। ধ্বংস হচ্ছে বৌদ্ধ বিহার ও স্তূপ।বাংলায় মাতৃতন্ত্রের সুবাদে শাক্ত ধর্মের রমরমা। ব্রাহ্মণ্য ধর্মের অত্যাচারে নিম্নবর্ণের গরিষ্ঠ মানুষ নাজেহাল। যদিও বাংলার তুলনায় অন্য রাজ্যে ব্রাহ্মণ্যবাদীদের অত্যাচারের মাত্রা ছিল অনেক বেশি। তাই সাধারণ মানুষদের মধ্যে একটি প্রবাদ চালু ছিল। ইস দুনিয়ামে তিন কসাই, পিসু (মাছি), খটমল (ছারপোকা) ব্রাহ্মণ ভাই।
বাংলায় ব্রাহ্মণ্যবাদী অত্যাচারের পরিমাণ কম হওয়ার কারণ ,ব্রাহ্মণদের মধ্যে বর্ণ বিভাজন। দ্রাবিড় গোষ্ঠী থেকে আসা বাংলার আদি ব্রাহ্মণদের খাঁটি ব্রাহ্মণ মনে করতেন না পরবর্তী কালে আসা কনৌজ এর বৈদিক ব্রাহ্মণরা। কেননা বাংলার ব্রাহ্মণরা বেদপাঠ করতে পারতেন না, বৈদিক ভাষা না জানায়। ফলে উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণরা সমাজে পরিচিত হন শোত্রিয় ব্রাহ্মণ নামে। আর বাংলার আদি ব্রাহ্মণদের পরিচিতি হয় বর্ণ ব্রাহ্মণ নামে। বাংলায় দরিদ্র জনগণের একাংশের পরিচয় ছিল গরসাল নামে। এঁরা রাতে অন্ধ সেজে ভিক্ষা করত। এতটাই ছিল নিম্ন বর্ণের বাঙালির অবস্থা। বাংলায় শাক্ত ধর্মের পান্ডারা তন্ত্রের বাহানা দেখিয়ে যৌনতা আর কামাচারে বাংলাকে কলুষিত করতে শুরু করে। সঙ্গে নীচবর্ণীয় মানুষের ওপর শোষণের মাত্রাও বাড়তে থাকে।
শ্রী চৈতন্যদেব
ঐতিহাসিক রিচার্ড ইটন তাঁর ‘দি রাইস অফ ইসলাম এন্ড দ্য বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার’ গ্রন্থে লিখেছেন_
মধ্য যুগের বাংলায় উচ্চবর্ণের হিন্দুদের মধ্যে শোষণের ধারণার অস্তিত্ব ছিল না। প্রাক আধুনিক যুগে উচ্চবর্ণের হিন্দু কর্তৃক নিম্নবর্ণের হিন্দুদের শোষণকে শোষণ হিসেবে দেখা হত না। বরং মনে করা হত এটি প্রাকৃতিক নিয়মরীতিরই অংশ। উচ্চবর্ণের হিন্দুদের আধিপত্যের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ যেন ইউরোপের আলোকিত(Enlightenment) ফসল। তাই এই অনুকম্পকে ইটন সাহেব reading history background বা উল্টোদিক থেকে ইতিহাস পাঠ হিসেবে বর্ণনা করেন।
ফলে নিম্নবর্ণের বাঙালি যখন দেখলো বৌদ্ধ ধর্মের শেষ সলতে জ্বলছে, তখন সামান্য একটু সম্মান আর নিরাপত্তা খুঁজতে মুসলিম ধর্ম নিতে শুরু করলো। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে উত্তরবঙ্গ ও পূর্ববঙ্গে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে মানুষের ভুল ভাঙলো। তত্ত্বগতভাবে ইসলামের অনুগামীরা আল্লাহ ও নবীর চোখে সমান হলেও হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত মানুষেরাও হিন্দু বর্ণভেদ প্রথার সম্পূর্ণ ভাইরাসমুক্ত হতে পারেনি। ফলে বাংলায় মুসলিম ধর্মেও স্পষ্টত দুটি ভাগ ছিল। আশরাফ ও আজলাফ।আজলাফ শব্দটি বিকৃত হয়ে হয় আতরাফ।অর্থাৎ পেশাগতভাবে নিম্নশ্রেণী থেকে আসা ধর্মান্তরিত মানুষেরা পরিচিত হন আজলাফে। যার অর্থ জঘন্য, ছোটলোক।১৯০২ সালে ভারতের আদম শুমারীর রিপোর্টে ই এ গেইট উল্লেখ করেন আর এক শ্রেণীর মুসলিমের কথা।যাদের বলা হত আরজল। এরা সবচেয়ে নিচুজাত। যেমন_হালালখোর (কসাই), বেদে ইত্যাদি। এদের সঙ্গে অন্য মুসলমানেরা সম্পর্ক রাখত না। মসজিদে এদের ঢোকা বারণ ছিল। এমনকি মৃত্যুর পর কবরস্থানেও জায়গা মিলত না। এদিকে চৈতন্যদেব তখন বর্ণাশ্রম প্রথার বিরুদ্ধে প্রেমময় বৈষ্ণব ধর্মের প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। বাংলার নবাব হুসেন শাহ ছিলেন ধর্মসহিষ্ণু ব্যক্তি। প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন,কেউ যেন চৈতন্যদেবকে বাধা না দেয়।
ফলে নীচবর্ণের মানুষ দলে দলে চৈতন্যদেবের বৈষ্ণব ধর্মে নাম লেখালো। এর আগে অবশ্য চৈতন্যদেব ৯১৬ বঙ্গাব্দে অর্থাৎ ১৫১০ খ্রিস্টাব্দে ২৬ মাঘ শীতের রাতে নিঃশব্দে গৃহত্যাগ করে কাটোয়ায় গিয়ে মুন্ডিতমস্তকে সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষা নেন কেশব ভারতীর কাছে। চৈতন্যদেব রাঢ় বাংলা পরিভ্রমণের পর সিদ্ধান্ত নেন, শ্রীকৃষ্ণের লীলাভূমি বৃন্দাবন যাবেন। কিন্তু শিষ্যরা জানালো বৃন্দাবন তথা উত্তর পশ্চিম ভারতে মুসলিম আগ্রাসন এমন অবস্থায় আছে যে যাওয়াটা নিরাপদ নয়। তাই বিকল্প সিদ্ধান্ত পুরী যাত্রা।
পুরীর রাজা প্রতাপরুদ্র।
পুরীর রাজা তখন প্রতাপরুদ্র। তিনি প্রতাপশালীও বটে। তাঁর রাজ্যের সীমানা বিস্তৃত ছিল, বাংলার হুগলি, মেদিনীপুর ,মাদ্রাজের গুন্টুর জেলা পর্যন্ত।এছাড়া বর্তমানের তেলেঙ্গানার প্রায় অর্ধেক। তাঁর রাজধানী ছিল মহানদীর তীরে কটকে। অগুনতি স্ত্রীর মধ্যে চারজন ছিল পাটরাণী। শ্রীপদ্মা, শ্রীপদ্মামালা, শ্রীইলা ও শ্রীমহিলা। ছিলেন সুশাসক। কবিও বটে। পুরীর মন্দিরে তখন চলছে পান্ডারাজ। রাজা বিরক্ত হলেও কিছু বলতে পারতেন না। কেননা রাজার পাশাপাশি পান্ডাদেরও প্রভাব ছিল জনমানসে। এই পুরীধামে শিষ্যসহ গেলেন চৈতন্যদেব। কথিত আছে, পুরীর মন্দিরের দ্বাররক্ষক ছিলেন এক বলবান মানুষ। পাগলের বেশে চৈতন্যদেবকে প্রবেশ করতে দেখে তিনি রুখে দেন। চৈতন্যদেব তখন ভক্তিভাবে এক বিশাল শক্তিধর। এক ঝটকায় রক্ষীকে ফেলে মন্দিরে ঢুকে পড়েন। খবর যায় রাজার কাছে। রাজা ভাবেন , বিধর্মী শত্রুর আক্রমণ। কিন্তু চৈতন্যদেবের দর্শন পেয়ে বুঝলেন , ইনি সাক্ষাৎ নারায়ণ। সারা উড়িয্যা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে চৈতন্যের নাম। রাজা তাঁকে দিলেন থাকার আশ্রয়। খবর পৌঁছতে বাংলার সেই নিম্নবর্ণের মানুষ ছুটলেন পুরীতে। যাই হোক, বাংলায় হিন্দু ব্রাহ্মণ আর উচ্চবর্ণের মুসলিমদের হাত থেকে তো বাঁচা যাবে।
তবে সে যুগে পুরী যাওয়া সহজ ছিল না। দীর্ঘ পথ হাঁটতে হতো। নয় নৌকা। অনেক খরচ । তিনটি পথ ছিল। এক,দক্ষিণবঙ্গ থেকে আটিসারা (বারুইপুর), ছত্রভোগ(জয়নগর, মজিলপুর),তমলুক,নারায়ণ গড়, দাঁতন , জলেশ্বর,ভদ্রক হয়ে পুরী। ২) পানিহাটি, আন্দুল, কোলাঘাট, বেলদা, জলেশ্বর, কটক হয়ে পুরী। ৩)বর্ধমান,মেদিনীপুর, কেশপুর, বালেশ্বর, সাক্ষীগোপাল হয়ে পুরী। আরেকটি পথ ছিল পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও উত্তরবঙ্গের মানুষ যেতেন ঝাড়খণ্ড হয়ে। শেষের দুটি রাস্তা ছিল হাঁটা পথ । বাকি দুটি জলপথ। জলপথে ছিল জলদস্যুর ভয়। সে সময় বাংলায় জনপ্রিয় প্রবাদ ছিল হাতে কড়ি পায়ে বল, তবে যাবি নীলাচল।
সেই সময়ে হাঁটা পথও ছিল বিপদজনক।১৫০৯সালে বাংলার নবাব হুসেন শাহের সেনাপতি ইসমাইল গাজীকে পরাস্ত করে পুরীর রাজা প্রতাপ রুদ্র হুগলি পর্যন্ত দখল নিয়ে নিয়েছেন বটে, কিন্তু হুসেন শাহের বার বার প্রতিরোধে পথ চলা ছিল দুর্গম। ১৫১৪সালে পুরীর রাজা বাংলার মেদিনীপুর পর্যন্ত দখল নেন। বর্ধমানের পথ দিয়ে তাই চৈতন্যদেবও যেতে পারেননি। কেননা পথের ধারে বেশ কিছু মসজিদ বানান হুসেন শাহ। আসলে যা ছিল সেনাদের ডেরা। তাই বাঙালি পুরী যেত ঘুরপথে। প্রবাদ ছিল, সুপথ দূর ভালো।
তাছাড়া জলপথে যেমন জলদস্যুর ভীতি, তেমন হাঁটা পথে সেনার ঝামেলা ছাড়াও ঠ্যাঙারে ডাকাতের উপদ্রব। যারা পথে অতিথি সেবার নামে খাবার এবং জল খেতে দিত।খাবারে মিশিয়ে দিত ধুতরো ফুলের বীজের গুঁড়ো। সেই খাদ্য খেয়ে মানুষ অজ্ঞান হয়ে যেত। ডাকাতরা পথিকের সর্বস্ব লুট করে পালাত। তাছাড়া ওলাওঠাসহ বহু রোগে আক্রান্ত হয়েও অনেক পথিক মারা পড়ত। পথে পড়ত জঙ্গল। সেখানে আবার বন্য কুকুর, শিয়াল আর বাঘের ভয়। তাই বাংলা ছেড়ে কেউ যদি তীর্থ দর্শনে পুরী যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিত, সে বাড়ির মহিলামহলে উঠত কান্নার রোল।
সে যুগে লটকন ফল নিবেদন করতেন বাঙালি তীর্থযাত্রীরা।
১৮৩৮ সালে পুরীতে আসেন লর্ড বিশপ। তিনি তীর্থযাত্রীদের দুরবস্থা দেখে বলেছিলেন, পুরী যম পুরী। ভ্যালি অফ ডেথ। ১৮১২ সালে এক বাঙালি ভক্ত সুখময় রায়ের দেড় লক্ষ টাকা দানের সৌজন্যে ব্রিটিশ প্রশাসন কটক থেকে পুরীর এক রাস্তা নির্মাণ করে। আজ যার নাম জগন্নাথ রোড। মধ্য যুগ থেকে বাঙালি পুরীতে তীর্থ দর্শনে যেত লটকন ফল নিয়ে।যা জগন্নাথকে নিবেদন করা হত। বিশেষ করে এই প্রথা পালন করতেন পূর্ববঙ্গের তীর্থযাত্রীরা। আজও কোচবিহার এবং নবদ্বীপের মানুষ পুরীতে এই লট কন ফল নিয়ে যান। লটকন বা নটকনা। এক ধরনের টক মিষ্টি ফল।দক্ষিণ এশিয়ার একটি বুনো গাছের ফল। বৈজ্ঞানিক নাম Baccaurea motleyana. কোথাও এই ফলটি হাড়ফাটা , বুবি, লটকা নামেও পরিচিত। মধ্য যুগে বাংলার এই ফল রপ্তানি হতো। পূর্ববঙ্গের ধারা, এই ফল জগন্নাথকে নিবেদন করার ।
রামকৃষ্ণদেব কোনদিন পুরী তীর্থে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেননি। কেননা তিনি বলতেন, আমি যদি নররূপে নারায়ণ হই ,তবে আর পুরী যাবো কেন? কিন্তু রামকৃষ্ণের মৃত্যুর পর সারদা দেবী নৌপথে পুরী যান। বলেন্দ্র নাথ ঠাকুর কাকা রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে উড়িষা ভ্রমণ নিয়ে সুন্দর একটি রচনা লিখেছেন। শোনা যায়, ব্রাহ্ম ধর্মের মানুষ তাই রবীন্দ্রনাথকে নাকি পুরীর মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সেটা অবশ্য অন্য প্রসঙ্গ। তবে ঐতিহাসিক সত্য এটাই, যে বাঙালি প্রথম পুরীর মাটিতে পা রেখেছিল জগন্নাথ দর্শনের জন্য নয়। গিয়েছিল প্রাণ বাঁচাতে হুসেন শাহের সেনাদের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে।