দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : দেশে ইংরেজ আধিপত্য ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশীয় রাজাদের প্রতিপত্তি ম্লান হতে শুরু করে। নবাব বাদশাদের দরবারে শাস্ত্রীয় সংগীতের চর্চা হয়ে পড়ে অনিয়মিত। অনিশ্চিত জীবনের সংকটে শিল্পীরা ছড়িয়ে পড়েন শহর থেকে শহরে। উত্তর ভারত থেকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের শিল্পীদের অভিমুখ বদলায় পূর্বাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র কলকাতায়। বাংলায় তখন পাঁচালি, খেউড়, কবিগান আখড়াই কীর্তনের প্রবল চর্চা। নব্য বাবুদের জমিদারিরআনুকূল্যে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ঐতিহ্য রক্ষা পেল বাংলার বোদ্ধা সংগীতপ্রেমী ঘরানায়।
সেই ট্রাডিশন সমানে চলেছে। বাঙালি পাল্টেছে। সময় পাল্টেছে। কিন্তু ঐতিহ্যের মূল্যবোধ পাল্টায়নি। তাই ৬০ এর দশক থেকে যে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অনুষ্ঠান বাংলায় কদর পেয়ে এসেছে তার নিত্য নতুন ব্যাপ্তি ঘটেছে। শনিবার ২৫ মে দক্ষিণ কলকাতার বিড়লা সভাঘরে ভারতীয় বিদ্যা ভবন সংস্কৃতি সাগর সংস্থার যৌথ উদ্যোগে তরুণ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের শিল্পীদের নিয়ে হতে চলেছে ইয়ুথ ক্লাসিক্যাল মিউজিক ফেস্টিভ্যাল উড়ান। সুরসৃষ্টি নিবেদন করবেন সেতার শিল্পী মেহতাব আলী নিয়াজী। তবলায় সঙ্গত করবেন দেবজিত পতিতুন্ডি। একক তবলা বাদন যশোবন্ত বৈষ্ণবের। হারমোনিয়ামে সহযোগী থাকবেন আকাশ জালমি এবং সারেঙ্গিতে আমন হুসেন। সরোদিয়া ইন্দ্রায়ুধ মজুমদার পরিবেশন করবেন সরোদ। তবলায় সঙ্গত করবেন ঈশান ঘোষ। তারুণ্যের প্লাবনে মুখরিত ঝর্ণাধারায় স্নান করতে কলকাতার শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বোদ্ধারা এখন থেকেই দিন গুনছেন।