নদীয়ায় বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থা আইসার নতুন আবিষ্কার দেশের সাফল্য তুলে ধরছে

*

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: কলকাতা প্রেস ক্লাবে নদীয়ায় মোহনপুরে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ কলকাতা এক সাংবাদিক সম্মেলনে সংস্থার এক নজিরসৃষ্টিকারী তথ্য তুলে ধরলেন সংস্থার অধিকর্তা ড: সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন আমরা গবেষকরা দেশের নাগরিক। আমাদের গবেষণা ও তার ফলাফল জানার অধিকার জনগণের আছে। আমরা তাই আমাদের কর্মযজ্ঞ সম্পর্কে তথ্য জানাতে সাংবাদিকদের কাছে এসেছি। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের আরও তিন বিজ্ঞানী ড: স্বাধীন মণ্ডল, রাহুল দাস ও ড: গোপালকৃষ্ণ দারভা। ভূবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গোপাল কৃষ্ণ দারভা জানান, পৃথিবীর পরিবেশে জল ও মাটিতে থাকা বিভিন্ন দূষিত পদার্থ খাদ্য দ্রব্যের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করছে।? বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে মালদহ, দুই চব্বিশ পরগনা সহ সাতটি জেলায় মাটির নিচের মাটি, জল ও সেই অঞ্চলের নারকেল গাছের জল ও শাঁস পরীক্ষা করা হয়। আলু টমেটোপেঁয়াজের মত আনাজে যে আর্সেনিকের উপস্থিতি মিললেও নারকেলে কিছু ক্ষতিকারক বস্তু মেলে নি।

অধ্যাপক স্বাধীন মণ্ডল বলেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের অন্যতম বড় কারণ বাতাসের কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি। এই গ্যাস এতটাই নিষ্ক্রিয় পদার্থ যে সেটিকে ব্যবহারের উপযোগী করা প্রায় অসম্ভব। তবে এই গ্রিন হাউস গ্যাসের নতুন এক বিক্রিয়া আমরা আবিষ্কার করেছি। যা দিয়ে রাসায়নিক তৈরি করে শিল্পের কাজে ব্যাবহার সম্ভব। জীব বিজ্ঞানের অধ্যাপক রাহুল দাস জানালেন মানব শরীরের কোষের স্থিতাবস্থা কেন ভেঙে ক্যানসার বা ওই জাতীয় রোগের প্রবণতা বাড়ছে সেই গবেষণাতেও এক ইতিবাচক দিশা মিলেছে। অধ্যাপক দাস জানান, সকলের ক্ষেত্রেই যে কোষের স্থিতাবস্থা নষ্ট হচ্ছে এমন নয়। কিভাবে স্থিতাবস্থা বজায় থাকছে সেটিও গবেষণা দেখা হচ্ছে।

এই প্রতিবেদকের প্রশ্ন ছিল প্রতিষ্ঠান অধিকর্তা সৌমিত্র বন্দোপাধ্যায়ের কাছে ভারতে এই মুহুর্তে গবেষক পিছু কেন্দ্রীয় সরকারের খরচ মাত্র ৪১ ডলার। সেখানে দক্ষিণ কোরিয়ার মত ছোট দেশের বরাদ্দ ২০০০ ডলারের বেশি। আমাদের দেশে ১৯৯৮ সালে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ ছিল যেখানে জি ডি পির ছয় শতাংশ, সেখানে ২০২৪ সালের শেষ আর্থিক বছরে বরাদ্দ ০.৬৮ শতাংশ। সেক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারত গড়তে বৈজ্ঞানিক গবেষণা কতটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব? ড: বন্দোপাধ্যায় স্বীকার করলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের বরাদ্দ সত্যিই অনেক কম। তবু এর মধ্যেই আমরা চেষ্টা করি আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টাকে বাস্তবে রূপায়িত করতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *