দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: বুধবার বিকেলে বৌবাজার অঞ্চলে নিজের বাড়িতে গেরুয়া সবুজ সামিনায় মুড়ে নির্বাচনী কার্যালয় খুলে ফেলেছেন। ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মোড় থেকে সুসজ্জিত মিছিল নিয়ে শুরু করলেন নিজের প্রচার। সঙ্গী স্থানীয় পুরপিতা সজল ঘোষ। পদ্ম অনুরাগী সমর্থকের উষ্ণ অভ্যর্থনায় , উচ্ছাসে ভাসলেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে আসা বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। স্থানীয় এলাকায় মিছিল চলল অনেকক্ষণ। আশে পাশের বাড়ি থেকে কৌতূহলী ভোটাররা প্রত্যক্ষ করলেন গেরুয়া মিছিল। উত্তর কলকাতার লোকসভা কেন্দ্রটি মূলত হচ্ছে ত্রিমুখী লড়াই। তৃণমূল প্রার্থী সাতবারের বিজয়ী সুদীপ বন্দোপাধ্যায়,, বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বর্ষীয়ান প্রদীপ ভট্টাচার্য ও বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের মধ্যে।
ইতিমধ্যেই এক বৈদ্যুতিক বাংলা চ্যানেলে প্রাক্তন সি বি আই কর্তা উপেন বিশ্বাস জানিয়েছেন,২০১৫ সালের ২ জানুয়ারি সারদা কাণ্ডের বিরুদ্ধে মধ্যমগ্রামে তৃণমুলের এক কোর কমিটির মিটিংয়ে প্রথম ও একমাত্র বিধায়ক ও তৃনমূলের নেতা তাপস রায় বলেছিলেন দলের গায়ে যেভাবে কলঙ্কের দাগ লাগছে মোটেই তা প্রত্যাশিত নয়। আমাদের সাবধান হতে হবে। দলের সমালোচনা এত স্পষ্ট করে মমতা বন্দোপাধ্যায়ও করেননি। তবে কি কারণে কেন্দ্রীয় সংস্থ তাপসের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে আমার জানা নেই।
দীর্ঘদিনের কংগ্রেসী রাজনীতি থেকে উঠে আসা তাপস রায়ের বক্তব্য, তৃণমূল দল এমন এক দম্পতিকে বারবার উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে টিকিট দিচ্ছে যাঁরা দীর্ঘ সাত আট বছর মমতা ব্যানার্জির হাত ছেড়ে তৃণমূল দলের বিরুদ্ধে কুৎসা করেছেন। কি সেই রহস্য আমার জানা নেই। দীর্ঘদিন নিষ্ঠার সঙ্গে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে থাকলেও আমাকে প্রতিপদে অপমান করা হয়েছে। যোগ্যতার সঙ্গে বিধানসভায় মুখ্য সচেতক হিসেবে কাজ করেছি। বরানগর কেন্দ্রের বিধায়ক হিসেবে স্থানীয় মানুষের আশীর্বাদ পেয়েছি। পরিস্থিতির কারণে আজ বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। কারণ সারা ভারতের মানুষ একজন যোগ্য প্রধানমন্ত্রী পেয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বেই একমাত্র নতুন ভারত গড়ে উঠছে। মোদীজির গ্যারেন্টিতে দেশের মানুষের সঙ্গ আমিও আস্থাশীল । স্থির নিশ্চিতউত্তর কোলকাতার মানুষ পদ্মফুলে ছাপ দিয়ে এবার বিজেপিতে ভরসা রাখবেন।