
******
দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: তন্তুজ ও সঙ্গীত দুয়ের যুগলবন্দী অনুষ্ঠান হয়ে গেল কলকাতার বালীগঞ্জের দাগা নিকুঞ্জের অলকা জালান ফাউন্ডেশন ও সঙ্গীত আশ্রমের যৌথ উদ্যোগে। অনুষ্ঠানের আকর্ষণ ছিল দুদিনের সৃজনমূলক কর্মশালা, নতুন সুরসৃষ্টি ও বাংলার ঐতিহ্যমন্ডিত তন্তুবস্ত্রের একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন।
ফেব্রিক অফ মিউজিক শীর্ষক অনুষ্ঠানে শব্দ ও বস্ত্রের, তাল ও তরঙ্গের স্মৃতি ও বস্তুর এক যুগলবন্দী যার শিকড় রয়ে গেছে বাংলার ঐতিহ্যমন্ডিত তন্তু ধারায়। নতুন প্রজন্মের সঙ্গীত সাধকদের উপস্থাপনা শুধু শিল্পের জন্য নয়, সামাজিক জীবন কথার এক প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলাই মূল লক্ষ্য। অনুষ্ঠানের আয়োজক ওয়েভার্স স্টুডিও রিসোর্স সেন্টার সৌমিক দত্ত আর্টস সেন্টার ( ইউ কে) ‘র উপস্থাপনায় একদিকে তন্তু শিল্পের প্রযুক্তিগত বিন্যাস পাশাপাশি নবীন সংগীতজ্ঞের প্রতিষ্ঠার পথ মসৃণ করার উদ্যোগ।
অনুষ্ঠানের সমাপ্তি দিবসে প্রদর্শিত হয় টেক্সটাইলস অফ দি বেঙ্গল ডেল্টা: এপার ওপার। বাংলার তন্তুবস্ত্র নির্মাণের দেশীয় প্রযুক্তি ও যন্ত্র বিপ্লবের প্রেক্ষিতে এক ইতিহাসের বুনন দর্শকদের প্রশংসা কুড়োয়। অনুষ্ঠানের অন্তিম পর্বে পরিবেশিত হয় ইউ কে কে প্রবাসী সুরকার ও সরোদ শিল্পী সৌমিক দত্তের বাদন শৈলী। সঙ্গে ছিল তবলিয়া দেবজিত পতিতুন্ডের যোগ্য তবলাসঙ্গত।
পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাসগুপ্তের ছাত্র সৌমিকের জন্ম মুম্বাইতে।১৪ বছর বয়সের পরিবারের সঙ্গে ইউ কে’র বাসিন্দা হওয়া। আন্তর্জাতিক স্তরে দেশীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতচর্চা ও জলবায়ু, উদ্বাস্তু সমস্যা নিয়ে সংস অফ দি আর্থ প্রকল্প নির্মাণ করেন। ভারতের শিল্পকলা নিয়ে টিভি সিরিজ পরিচালনা , শক্তি ব্যান্ডের ৫০ বছরে নতুন অ্যালবাম নির্মাণ সৌমিকের অন্যতম পদক্ষেপ। কলকাতার ধ্রুপদী সঙ্গীতপ্রেমীরা পরিচিত হলেন সামাজিক দায়বদ্ধতার এক বার্তাবাহক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এক শিল্পী সৌমিক দত্তের সঙ্গে।
