বেশ্যার বারমাস্যা

পর্ব:১৬৯

প্রাচীন গ্রীসে বালক যৌন কর্মী ছিল সমাজস্বীকৃত।

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: গত বেশকয়েকটি পর্ব পর্যন্ত এদেশের বিষকন্যা নিয়ে আলোচনা করেছি। এবার সমসাময়িককালে গ্রিসে নারী বেশ্যাদের পাশাপাশি বালকদেরর যৌনকর্মী হিসেবে জীবনের ব্যবহার করা হতো সেই প্রসঙ্গে জানাবো। এই তথ্য সংগ্রহে প্রথমেই কৃতজ্ঞতা থাকবে বাংলাদেশের লেখক , অনুবাদক আনোয়ার হোসেইন মঞ্জুর প্রতি। তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে নিকোলাওস এ ভ্রিসিমটজিস লিখিত প্রাচীন গ্রীসে প্রেম ওর যৌন জীবন শীর্ষক বইটির বাংলা অনুবাদ করেছেন।

গ্রীসে বয়স্ক পুরুষের বালক আসক্তি ছিল স্বাভাবিক।

অনুবাদক তাঁর বইয়ের ৬৮ পৃষ্ঠায় বালকদের প্রতি আসক্তি অধ্যায়ে লিখেছেন, এ অধ্যায়ের শুরুতেই আমাদের ব্যাখ্যা করা উচিত যে গ্রীসে স্বল্প বয়সের বালকদের প্রতি বয়স্ক পুরুষের আসক্তি অনিবার্যভাবে সমকামমূলক ছিল না। অতএব এধরণের আসক্তি বা প্রেমিকের শিশু কিশোরদের সাথে যৌনকর্মে লিপ্ত হওয়ার ঘটনাকে মিলিয়ে ফেলার সঠিক হবে না।

আজও বিশ্বের বহুদেশে বয়স্ক পুরুষ বা মহিলাদের হাতে বালক ধর্ষিত হচ্ছে।

গ্রীক ভাষায় pederasty শব্দটি কোন বালকের জন্য আধ্যাত্মিক সংলগ্নতা ও ভালোবাসা এবং তার প্রশংসার সাথে জড়িত। প্রাচীন গ্রিসে এই শব্দের প্রয়োগ বা একটি বালকের সাথে একজন বয়স্ক পুরুষের সম্পর্ককে নোংরাভাবে দেখা হতো না। কিন্তু বর্তমানে অনেক ভাষায় এই ইংরেজি শব্দটি যৌনতার সাথে সংশ্লিষ্ট অতি নিন্দনীয় ও আপত্তিকর একটি শব্দ, যা নিঃসন্দেহে এর অপব্যাখ্যার কারণেই হয়েছে। (চলবে)

পরবর্তী পর্ব ৫ ডিসেম্বর, শুক্রবার,২০২৫

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *