বেশ্যার বারমাস্যা

পর্ব;১৬৭

হালবিড মন্দির।

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: লেখক ড: গৌরীশঙ্কর দে তাঁর নিবন্ধে লিখেছেন তিনিদক্ষিণ ভারতে একটি মন্দিরে যৌবনগর্বিতা, বিচিত্র ভূষণে সঞ্জিতা লাস্যময়ী বিষকন্যার প্রস্তরমূর্তির সন্ধান পেয়েছিলেন। মন্দিরটির কথা সঠিক মনে আসছে না। (সম্ভবত হালবিড মন্দির)। মন্দিরটির পায়ের কাছে উৎকীর্ণ একটি বৃশ্চিক – নিঃসন্দেহে বিষকন্যার প্রতীক। আধুনিককালে বিষ কন্যাকে নিয়ে একটি ভয়ানক কিন্তু মানবিক অনবদ্য গল্প রচনা করেছেন শরদিন্দুর বন্দোপাধ্যায় ।বইটির নাম বিষকন্যা।

নাগবংশীয় রাজা চণ্ড।

লেখক লিখেছেন, প্রায়চব্বিশ শতাব্দী পূর্বে। পাটলিপুত্রের সিংহাসনে আসীন শিশু নাগবংশীয় এক অশ্রুতকীর্তি রাজা ( চণ্ড)। রাক্ষসের মত প্রকৃতি তার প্রকৃতি। এই রাজার ঔরসে রাজদাসী মোরিকার গর্ভে এক কন্যা জন্মের। কন্যার কোষ্ঠী পরীক্ষা করে সভাপণ্ডিত রাজাকে জানান, এই কন্যা অতিশয় কূলক্ষণা, প্রিয়জনের অনিষ্ঠকারিণী – সাক্ষাৎ বিষকন্যা। ইহাকে বর্জন করুন।

বিষকন্যা মোরিকার সন্তানকে বিষকন্যা নির্মাণের দায়িত্ব নেন মন্ত্রী শিব মিশ্র

রাজার আদেশে মোরিকা ( সেও বিষকন্যার জননী হওয়ার জন্য দণ্ডাজ্ঞা প্রাপ্ত) সন্তান বিসর্জন দিতে পাটলিপুত্রের ভয়াবহ মহাশ্মশানে রাত্রিবেলা একা উপস্থিত হয়। সেখানে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত মন্ত্রী শিবমিশ্র মৃত্তিকাগর্ভে প্রায় প্রোথিত। তাঁর কাতর আবেদনে মোরিকা তাঁকে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করে। শিবমিশ্র মোরিকার শিশুকন্যার দেহলক্ষণ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন যে সে বিষ কন্যা। তিনি কন্যাটিকে পালন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। মোরিকা তখন নিরুত্তর। তার দেহ প্রাণহীন। (চলবে)

আগামী পর্ব ২৪ নভেম্বর,২০২৫

:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *