****
সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: বিশ্বজুড়েই জল সংকট বাড়ছে। ভারতের ছবিটাও এক। সমীক্ষায় প্রকাশ ২০৫০ সালের মধ্যে পানীয় জলের এক চরম সংকটের মুখোমুখি হবে ভারত।৭৯ তম স্বাধীনতায় আত্মনির্ভর হওয়ার আনন্দে ডগমগ রাষ্ট্রনেতারা। অথচ দেশের মাত্র ৩০ শতাংশ মানুষ কলের জলের পরিষেবা পান। তবে তাও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য।২০২২ এ বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট বলে ভারতের ২১ শতাংশ ছোঁয়াচে রোগের কারণ বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব। এক রাষ্ট্রীয় সংস্থা তো জানিয়েই দিয়েছে ২০৫৯ সালের মধ্যে বার্ষিক জনপ্রতি জলের পরিমাণ কমে দাঁড়াবে ১৭০০ ঘনমিটার থেকে ১০০০ ঘনমিটার।

ফলে শহরাঞ্চলে বোতলবন্দী জল বিপণন একটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার। ভারতে প্রথম বোতলবন্দী জলের ব্যবসায় নেমেছিল বিসলারি ব্র্যান্ড ১৯৬৭ সালে। কিন্তু বাজারে দখল করা সম্ভব হয়নি। এরপর আবার চেষ্টা ১৯৯১ সালে। সেবারও ব্যর্থতা। শেষপর্যন্ত ১৯৯৪ সালে প্রথম ইউ পি এ সরকারের বদান্যতায় জলের ব্যবসা গতি পায় ভারতে। বিশ্বে যেখানে ব্যবসা বেরেছের ৪.৫ শতাংশ হারে, সেখানে ভারতে ব্যবসায় বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ হারে। ভারতে ২০২৪ সালে বোতলবন্দী জলের ব্যবসা ছিল ৩.১ বিলিয়ন ইউ এস ডলার। সমীক্ষা বলছে আগামী পাঁচ বছরে এই ব্যবসা দাঁড়াবে ১৪ বিলিয়ন ইউ এস ডলার।
দেশের অন্যতম বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড আকোয়ারিও বোতলবন্দী জল এখন কলকাতাসহ দক্ষিণ বঙ্গে মিলবে।২৫০ মিলিলিটার, এবং ৫০০ মিলি লিটার, ১ লিটার ও ২ লিটার জলের বোতল । শুক্রবার বিকেলে মধ্য কলকাতার এক বিলাসবহুল হোটেলে ঊষা শ্রীরাম সংস্থার তরফে অভিনেত্রী দেবলীনা দত্তের উপস্থিতিতে আকোয়ারিও জল ব্র্যান্ড নামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো। উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সি ই ও সতনাম সন্ধু, বিপণন সংস্থা হিরণ বেভারেজেস এর পক্ষে মুখ্য পরিচালক সুকুমার পাল শেঠিয়া উদ্যোগের তরফে পুখরাজ বি শেঠিয়া, ব্র্যান্ড লাইসেন্সিং কনসালটেন্টসৌমিক মিত্র, ঊষা শ্রীরাম সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট অজয় তাংক, জোনাল হেড রাজর্ষি দে প্রমুখ।
ঊষা শ্রীরাম সংস্থা ইতিমধ্যে পাখা ও ইউরোলেক্স ব্র্যান্ডে লাইটিং, সোলার পণ্য, ওয়ার্স, সুইচেস, কুকওয়ার, ইলেকট্রনিক্স, ওয়াটার অ্যান্ড পিউরিফায়ার্স ও ফার্নিচার জগতে সেরা মানের মর্যাদা পেয়েছে। প্রায় তিরিশ কোটি টাকা বিনিয়োগে এই বোতলবন্দী জলের ব্যবসায় প্রথমে ৯ কোটি বিনিয়োগ হয়েছে প্রযুক্তি ও বিপণনের কাজে। সংস্থার প্রতিটি পণ্য যেমন মানগত উৎকর্ষতার পরিচয় রেখেছে তেমন বোতলবন্দী পানীয়জল সেই ঐতিহ্য পালন করবে।
