পর্ব : ১৪০

৫০ এর দশকে কলকাতার নিষিদ্ধপল্লী সোনাগাছি।
সুজিৎ চট্টোপাধ্যায় : অসহায়ের মেয়েরা আধুনিক যুগে কেন দেহবিক্রির জীবিকা গ্রহণ করে তার কারণ বহু।প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে অনেকের ঠাঁই হয় নিষিদ্ধ পল্লীতে। স্বামীর মৃত্যুতে শ্বশুরবাড়ি ছাড়তে হয় অনেক মেয়েকে।স্বামীখাকি মেয়ের বাপের বাড়িতে স্থান হয় না। সেক্ষেত্রে কাজের
খোঁজ করতে গিয়ে আড়কাঠি দালালদের খপ্পরে পড়ে অনেক মেয়ের স্থান হয় নিষিদ্ধ পল্লী।
আজকাল বেড়েছে পাচার। অন্যতম কারণ দারিদ্রতা। অনেক মেয়ে অবশ্য ভোগবাদর কর্পোরেট দুনিয়ায় সব পেয়েছির আনন্দ উপভোগ করতে চায় তাঁরা স্বেচ্ছায় আসে এই পেশায়।কেউ পাকা পাকি ভাবে নিষিদ্ধ পল্লীতে থাকে। কেউ সকাল সন্ধ্যার ডিউটির সেরার বাড়ি যায়। অনেক ক্ষেত্রে বাড়ির লোক জানেও না পরিবারের মেয়ে বা বউ কোন কাজে যায়।

এযুগের সোনাগাছি।
অনেক মেয়ে এই পেশার বিকল্প পেলের মুক্তি পেতে চায়। তবে সংখ্যায় কম।বরং অধিকাংশ মেয়েরাই মনে করে আমরা নষ্ট মেয়ে। সমাজ আমাদের সেই সম্মানী দেবে না ,ভালোর ভাবে বাঁচার সুযোগীর পাবো না। যা আছি বেশ আছি। বৈদিক যুগের প্রসঙ্গে বলেছিলাম গণিকাধ্যক্ষের কথা। আজ যা মাসি। একটা সময় ছিল মাসির অধীনের থেকে মেয়েদের রোজগারের ওউরোর তাকাতাইর তুলে দিয়ে হতো।নাহলের মাসির পোষা গুন্ডাদের হাতে লাঞ্ছনা। এখন মেয়েরা ইউনিয়নের জোরে অনেকটাই স্বাধীন। যার যেমন রোজগার তার তেমন ঘর।

নিষিদ্ধ পল্লীর সন্তানরা আজও ব্রাত্য সমাজের কাছে।
সমীক্ষা বলছে এখন বহু স্কুল কলেজের সম্ভ্রান্ত ঘরের মেয়েরা বাড়তি আয়ের লোভে পার্টটাইম নিষিদ্ধ পল্লীতে বা হোটেলে দেহবিক্রি করে। বাড়িতে জানায় তারাত ছাত্র পড়িয়ে আয় করছে। অভিভাবকেরাও খুশি। মেয়ে নিজের খরচে নিজে যোগাড় করছে বাড়ির ওপর চাপ দিচ্ছে না। সমঝদার মেয়ে। হ্যাঁ।নগরপাল অর্থাৎ পুলিশকেও দিতে হয় প্রণামী। নাহলে নিষিদ্ধ পল্লীতে ঢোকানর জন্য খদ্দেরদের বিরক্ত করে পুলিশ। অনেক পুলিশ আছে যাঁরা শুধু বখশিস নিয়ে খুশির হয় তা নয়। বাড়তি একটু চায়।সেক্ষেত্রে বিনে পয়সায় শরীরটা তাদের কাছে মেলে ব্ধর্তের হয়। (চলবে)
পরবর্তী পর্ব আগামী শুক্রবার ২২ আগস্ট,২০২৫
