বেশ্যার বারমাস্যা

পর্ব : ১৩৯

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায় : এই পর্বে একটু স্বাদ পরিবর্তন করা যাক। গণিকা বা বেশ্যা শুধু যে বৈদিক বা পরবর্তী পৌরাণিক যুগে কিম্বা মধ্যযুগেই যে শোষণের জালে বন্দীছিলেন তা নয়। আজও মেয়েরা শোষিত। স্বদেশচর্চা লোক পত্রিকার শারদ ২০১৬ সংখ্যায় একটি নিবন্ধ লিখেছেন রতন তিনি ঘাঁটি। তিনি তাঁর পতিতাদের আয়ের সিংহভাগই অন্যেরা লুটে পুটে খাই শীর্ষক নিবন্ধে ৩৬৮ পৃষ্ঠায় লিখেছেন,,,,,,, মফঃস্বলে পতিতারা ভীষণভাবে আইটি অসহায়তার শিকার। দেহ বিক্রি করে দিনে-রাতে যা হয়, সেই টাকা থাকতে আর খেতেই শেষ হয়ে যায়।একটি একজন পতিতার রমরমা দু দুশো ডাইনির মধ্যেই ফুরিয়ে যায়।

খুব তাড়াতাড়ি তারা খদ্দেরের কাছে ভীষণ পুরানো হয়ে যায়।তখনি তার দাম পঞ্চাশ একশ টাকায় নেমে আসে তিন থেকে পাঁচ টাকায়। পতিতালয়ের মাসি , দালাল, পাড়ার মস্তান এবং বাড়িওলা সবাই মিলে লুটে নেয় পতিতাদের দেহবিক্রির টাকা।অনেক্ট সময় পতিতাদের থাকা -খাওয়ার পয়সা জোটে না। তবু মেয়েটার পতিতাবৃত্তির পঙ্কিল পথে নেমে আসে কেন?

বাংলাদেশের যৌনপল্লী শাসন করে বাঁধা বাবুরা।

জন্ম থিকা কুন মেইয়্যা কী লাইনের লেগ্যা জন্মায়? কথাটি বলেছিলেন পুরুলিয়া অলক্ষ্মীডাঙ্গার পতিতাপল্লীর চায়না রজক। সত্যিই , কোনও মেয়েই তো পতিতা হয়ে জন্মায় না। পরিবেশ, ঘটনা, প্রতারণা এবং দুর্বগর এক একটি মেয়েকে টেনে নিয়ে যায় পতিতাবৃত্তির পঙ্কিল পথে। এক একটি মেয়েকে অজস্র কামাতুর পুরুষের সম্মুখে তুলে দিতে হয় তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ সামান্য পাঁচ বা দশ টাকার বিনিময়ে। (চলবে)

আগামী পর্ব ,সোমবার,১৮ আগস্ট২০২৫

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *