একাডেমী প্রাঙ্গনে সরকারি চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ের উদ্যোগে ১৫০ তমশিল্প প্রদর্শনী

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : বসন্তের আগমনী বার্তাকে সঙ্গী করেই কোলকাতার রাজ্য সরকারি চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ের উদ্যোগে ৫ মার্চ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত একাডেমি প্রাঙ্গণে ও গগনেন্দ্র শিল্প প্রদর্শনশালায় শুরু চারু ও কারুকলা প্রদর্শনী শুরু রবিবার সন্ধায়। একাডেমী প্রাঙ্গণে ১৫৯ তম বার্ষিক প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন হল প্রদীপ জ্বালিয়ে। অনুষ্ঠানের শুরুতে রবিবার রাতে প্রয়াত কলা শিল্পের বিভিন্ন আঙ্গিকে সিদ্ধহস্ত রণেন আয়ন দত্তের প্রতিকৃতিতে মালা দিয়ে স্মৃতিচারণ হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী যোগেন চৌধুরী, বিমানবিহারী দাস প্রমুখ।

                 অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ছত্রপতি দত্ত। ছাত্র সংসদ, শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারীদের যৌথ প্রয়াসে এই মেলায় ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের শৈল্পিক সৃষ্টিকে সাধারণের নজরে উপস্থাপিত করেন। পরম্পরার রীতিতে ১৫০ তম বার্ষিক প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে চারু ও কারুকলা বিভাগের বিভিন্ন আঙ্গিকের শিল্প কর্ম। পশ্চিমী পেইন্টিং, ভারতীয় পেইন্টিং, গ্রাফিকডিজাইন, অ্যাপ্লাইড আর্ট, প্রিন্ট মেকিং, মডেলিং অ্যান্ড স্কাল্পচার , সিরামিক আর্ট অ্যান্ড পটারি, টেক্সটাইল ডিজাইন উড অ্যান্ড লেদার অ্যান্ড ম্যুরাল আর্ট বিষয়গুলিতে নির্মিত শিল্প সম্ভার প্রদর্শিত হয়। বহু শিল্পপ্রেমী মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। প্রদর্শনীকে ঘিরে ছাত্রছাত্রীরাও ছিল উৎসাহিত।

বিজ্ঞাপন

        উদ্বোধন অনুষ্ঠানস্থলে ছিল সদ্য প্রয়াত ধ্রুপদী শিল্পী রণেন আয়ন দত্তের ফুলে ঢাকা প্রতিকৃতি। বার্ধক্যজনিত কারণে রবিবার রাত আটটায় তিনি প্রয়াত হন। মেলার শুরুতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরফে প্রয়াত শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ছত্রপতি দত্ত , আমন্ত্রিত অতিথি , ছাত্র সংসদ।

বিজ্ঞাপন

              সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষছত্রপতি দত্ত বলেন, কলকাতার গভর্নমেন্ট কলেজ অফ আর্ট অ্যান্ড ক্রাফট ভারতের অন্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় প্রাচীনতম।১৮৫৪ সালের ১৬ আগস্ট চিৎপুর অঞ্চলে গড়ানহাটায় এই প্রতিষ্ঠানের শুরু। উদ্দেশ্য ছিল সববর্গের নবীন প্রজন্মের যাঁরা শিল্পী হতে ইচ্ছুক তাঁদের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে শিল্পের বিভিন্ন শাখায় উন্নীত করা। এই মূহুর্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচশ। আমন্ত্রিত বক্তারা বাংলার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্যের কথা বলেন। বাংলার ছাত্রছাত্রীরা শৈল্পিক মানেরও প্রশংসা করেন।

বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *