শ্রীজিৎ চট্টরাজ : সন্দেশখালি ঘটনা ও বিচারপতির পদ ছেড়ে মসিহা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যোগদান আর তাপস রায়ের দলত্যাগ তৃণমূল দলকে বেশ কিছুটা বিব্রত বোধ করছে তাতে সন্দেহ নেই। এতদিন নিজের বাড়ি থেকে বা দলের কার্যালয়ে প্রার্থী তালিক প্রকাশ করতেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। এবার খোলা আকাশের নিচে রীতিমত টি আকারের মঞ্চ বিস্তৃতি ঘটানো হয়েছে। যাতে মঞ্চ থেকে নয়, জনগণের সঙ্গে মিশে যাওয়ার পরিকল্পনা। একদিকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ অন্যদিকে বিজেপি বাম ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ ছড়িয়ে দেবেন মমতা এবং অভিষেক।এবার এই সভায় চমক নতুন প্রার্থী কারা হবেন কারা বাদ যাবেন।
সংবাদসূত্রের খবর, বসিরহাট কেন্দ্রে এবারআর টিকিট পাচ্ছেন না অভিনেত্রী নুসরতজাহান। এই আসনটির মনোনয়ন পেতে চলেছেন সায়নী ঘোষ। দিদি নং ওয়ান অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। তখনই বোঝা গেছে নেত্রীর নজর রচনা ব্যানার্জির দিকে। একদিকে দিদি নম্বর ওয়ানের বিপুল জনপ্রিয়তা , দুই রচনা ব্যানার্জি বহুদিনের শিল্পী। কিন্তু তাঁকে নিয়ে নেই কোনো নেতিবাচক দাগ। তাই নিঃসন্দেহে রচনা এবার রচনা করতে চলেছেন জীবনের নতুন অধ্যায়। আবার জোর গুঞ্জন বাংলার দাদাকে নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূল দলে টানাটানি অনেকদিনের। কিন্তু পাঁকাল মাছের মত পিছলে বেরিয়ে যান বাংলার দাদা। কিন্তু দিদি নম্বর ওয়ানে হাজির সেই প্রাক্তন ক্রিকেটার দাদার স্ত্রী যদি বরাভয় মুদ্রা নিয়ে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হন অবাক হওয়ার কিছু নেই।
আর কি চমক? বিজেপি বা কংগ্রেসের কোনো নেতা তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। যোগ দিতে পারেন পুলিশের কোনো ব্যাক্তিত্ব। যোগ দিতে পারেন সরকারি কোনো প্রাক্তন আমলাও। অর্জুন সিং গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে ব্যারাকপুর থেকে সরছেন। এই আসনে সম্ভবত শত্রুঘ্ন সিনহা।যাদবপুর কেন্দ্র থেকে সরছেন মিমি চক্রবর্তী। সেখানে সম্ভবত পুলিশ কর্তা মনোনয়ন পাচ্ছেন। তবে কয়েকজন বয়স্ক সাংসদ বাদ পড়তে পারেন। সেই দলে কি সৌগত রায়? সি পি এম নেতা প্রয়াত অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা বিশ্বাস , বিজেপি ছেড়ে আসা ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ টিকিট পাচ্ছেন সব বোঝা যাবে কিছুক্ষণের মধ্যে। ইতিমধ্যে লক্ষ লক্ষ মমতা ও অভিষেক অনুগামী পৌঁছে গেছেন বিগ্রে ময়দানে। সভা চলবে কমপক্ষে তিনঘন্টা। তাই ডিম্ভাত, বিরিয়ানি মুরগি ভাতের আয়োজন চলছে। খেয়েদেয়ে তাঁরা আগামী নির্বাচনে কিভাবে লড়াই থুড়ি কিভাবে অংশ নেবেন তার টিপস্ পাবেন। বাংলার শুধু নয়, দেশের জনগণ ও বিরোধী দলগুলি ও কেন্দ্রের শাসকদলের নজর এখন বিগ্রেড