দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: প্রতি বছরের মত এবছরেও বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। বিজ্ঞানী ড: রবার্ট কোচ মাইকোব্যাকটেরিয়াম যক্ষ্মা আবিষ্কার করার একশ বছর পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২৪ মার্চ ১৯৮২ সালে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালনের সূচনা করে। এই বছরের থিম টিভি নির্মূল বিশ্ব থেকে। পরিসংখ্যান বলছে বিশ্ব যত পরিবেশ দূষণের শিকার হচ্ছে , বিশ্বে খাদ্য সংকট বাড়ায় অপুষ্টি গ্রাস করছে তত যক্ষ্মা বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২৩ গ্লোবাল টিবি রিপোর্টে বলা হয়েছে বিশ্বের মোট টিবি আক্রান্তদের ২৭ শতাংশ ভারতে।যদিও ভারত ২০২৫ সালের মধ্যে টিবি নির্মূলের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে । কিন্তু সমীক্ষা বলছে প্রাক কোভিড মহামারী থেকে ২০২২ সালে ভারতে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ২৪.২ লাখ।
বিজ্ঞাপন
কলকাতার মেডিকা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি কলকাতা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠকে হাসপাতালের তরফে যক্ষ্মা চিকিৎসার যে অত্যাধুনিক পন্থা প্রয়োগ হচ্ছে বিস্তারিত তা জানালেন হাসপাতালের গ্রুপ প্রেসিডেন্ট ও সি এম ও সৌমিত্র ভরদ্বাজ। উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের শ্বাসতন্ত্র বিশেষজ্ঞ ডা: দেবরাজ যশ। একটা সময় ছিল যক্ষ্মা হলে আক্রান্ত রোগীকে স্যানিটোরিয়ামে আলাদা রাখতে হত। এখন বাড়িতেই নিভৃতে থাকা যায়। কেননা ওষুধের গুণগত মান অনেক বেড়েছে। যক্ষ্মা যে শুধু ফুসফুসে হয় ত নয় দেহের বিভিন্ন অংশে হতে পারে। তবে ফুসফুসের যক্ষ্মাই একমাত্র ছোঁয়াচে। যক্ষ্মা আজকাল সব বয়সে এমনকি শিশুদের মধ্যেও হচ্ছে।
এই প্রতিবেদকের প্রশ্ন ছিল , খাদ্য সংকট ও অপুষ্টির বিশ্ব তালিকায় ভারত যখন পিছনের সারিতে প্রথম দিকে তখন যক্ষ্মা নিবারণ কি সম্ভব,? ডা: যশ স্বীকার করলেন রোগ প্রতিরোধে আমরা অক্লান্ত চেষ্টা করলেও যতক্ষণ না দে থেকে দূষণ কমাতে পারি, খাদ্য দরিদ্র মানুষ কে পৌঁছে দিতে পারি, অপুষ্টির হাত থেকে শিশুদের রক্ষা করতে পারি যক্ষ্মা নির্মূল সম্ভব নয়। তবে মেডিকা এখন উন্নততর যক্ষ্মার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে সেকথাও মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া দরকার।