***********
শ্রীজিৎ চট্টরাজ : এক সমীক্ষায় প্রকাশ, চলতি বছরের প্রথম চারমাসে ভারতে সাইবার অপরাধে ভারতীয় নাগরিকদের ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টালে দায়ের হয়েছে ৭ লক্ষ ৪০ হাজারেরও বেশি অভিযোগ। গত মে মাসে অভিযোগ দায়ের হয় প্রতিদিন ৭ হাজার অভিযোগ। যা গত ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের তুলনায় ১১৩.৭ শতাংশ বেশি। ৮৫ শতাংশই আর্থিক অনলাইন জালিয়াতি।২০২৪ সালে অভিযোগ দায়ের হয়েছে প্রথম চারমাসে ১৫ লক্ষ ৫৬ হাজার ২০৭ টি। ফলে সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার প্রয়োজন বেড়েছে। সিলেবাস শিক্ষার পাশাপশি সাইবার ক্রাইম রুখতে এ্যাথিকাল হ্যাকারের প্রয়োজন বেড়েছে।বিষয়টি এখন পেশাগত ভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। তা ছাড়াও দৈনন্দিন জীবনে ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে এ আই প্রযুক্তির যুগলবন্দি নতুন দিশা দেখাচ্ছে।
কলকাতার পরিচিত এক পেশাদারী বৃত্তির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জেট কিং শুক্রবার মধ্য কলকাতার প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করে সাইবার ম্যানিয়া ২০২৪। তিনদিনব্যাপী এই প্রদর্শনী চলবে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত। এই বছরের থিম থিঙ্ক ডিজিটাল, থিঙ্ক জেটকিং। আই অ্যাম জেট কিং ও জেট কিং হিরো বিশেষ ফোকাস প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সমাধান ও সফল প্রয়োগের ভিত্তিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সাইবারম্যানিয়া ২০২৪ শিক্ষার্থীদের গ্রাফিক ডিজাইনিং, মেটাভার্স, ক্লাউড কম্পিউটিং ও সাইবার সিকিরিউটি বিষয়ে দক্ষতা প্রমাণের সুযোগ মিলছে। এবারের অনুষ্ঠানে এডাবলু এসে অটো স্কেলিং, রোবোটিক আর্ম, এ আই ফার্মা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ভি এফ এক্স ব্রেকডাউন্স, উইমেন সেফটি অ্যাপস সহ বিভিন্ন সৃজনশীল প্রকল্প প্রদর্শিত হচ
কলকাতার জেট কিং ভবানীপুর কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেট কিং ইন্ফোট্রেনের সি ই ও ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর হর্ষ ভারওয়ানি। তিনি ব্যবহারিক শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জেট কিং গত ৭৮ বছর ধরে বিশ্বব্যাপী ১০০ টিরও বেশি দেশে প্রায় b১ মিলিয়ন শিক্ষার্থীদেরপ্রশিক্ষণ দিয়েছে। সংগঠনের পক্ষে রাজ্যের শিক্ষার্থী, প্রযুক্তিপ্রেমী, শিল্প পেশাদার ও সাধারণ মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ভবানীপুর কেন্দ্র অধিকর্তা রাজশ্রী চক্রবর্তী জানান, এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষা শেষে শুধু কাজের ক্ষেত্রে সহযোগিতা নয়, যোগ্যদের কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে গ্যারেন্টি দেয়। প্রতিষ্ঠানের ভবানীপুর শাখার সরকারি আধিকারিক বিবেক ঠাকুর বলেন, কলকাতা,বাংলাসহ প্রতিবেশী রাজ্য থেকেও আমাদের ছাত্রছাত্রীরা বৃত্তিমূলক শিক্ষা নিতে আসেন। উচ্চমাধ্যমিক পাশ যেকেউ যোগ দিতে পারেন। আর্থিক দুর্বল ছাত্রছাত্রীদের স্টাইফেন ও ব্যাংক ঋণেরও ব্যবস্থা করা হয়। এই মুহূর্তে এমন বহু ছাত্রছাত্রী বিভিন্ন সংস্থায় বহু অংকের বেতনে চাকরি করছেন।