*
দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : দেশে শেষ জন শুমারি হয় ২০১১ সালে। তবে ২০১৯ সালে ভারতের জন্য শিক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ভারতের মোট শিশুর ১.৭ শতাংশ বিশেষভাবে সক্ষম। যাঁদের বুদ্ধাংক ৭৫ এর নিচে এবং ১২০ এর ওপরে তাঁদেরই চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিশেষভাবে সক্ষম বলা হয়। আমাদের রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে এঁদের জীবনে ছন্দ ফিরিয়ে আনতে কিছু হোম পরিচালিত হয়। এমনই এক সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত হোম বোধনা। কেন্দ্রীয় সরকারের ৬০ শতাংশ ও রাজ্য সরকারের ৪০ শতাংশ অনুদানে পরিচালিত হয়। তবু প্রয়োজন হয় আর্থিক অনুদান। সবচেয়ে সমস্যা স্থান সংকুলান। স্বাভাবিক শিক্ষায় পিছিয়ে থাকলেও হাতের কাজে এরা অনেকই কুশলী। তাঁদের রয়েছে নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট। তাঁদের তৈরি পণ্য বিক্রির ৫০ শতাংশ মূলধন বাবদ বাদ দিয়ে বাকিটা নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে জমা হয় । অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলে সেই টাকা তাঁদের প্রাপ্য হয়। কিন্তু দুঃখের কথা, বেশিরভাগ এই ছেলেরা সুস্থ হলেও বাড়ির লোক ফেরত নেন না । ফলে তাঁদের বাকি জীবন কাটে হোমে।
মিনু শাড়ি নির্মাণকারী সংস্থার অন্যতম পরিচালক ও মমরাজ ফাউন্ডেশনের সভাপতি , প্রাক্তন রাজ্যপাল ও এলাহাবাদ উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি শ্যামল সেন ও কিছু ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতে বোধনা হোমের আবাস সম্প্রসারণ অনুষ্ঠান পালিত হয়। সম্প্রসারণ ব্যয় দিয়েছে মম রাজ ফাউন্ডেশন। হোমের সভাপতিও শ্যামল সেন। শ্যামল সেন বলেন আমি গর্বিত ও সম্মানিত এই হোমের সভাপতি হিসেবে। এখনকার বাচ্চারা দৈনন্দিন জীবনে সমাজের বোঝা নয়, সুযোগ পেলে তাঁরাও যে সমাজের অঙ্গ হয়ে উঠতে পারে তার প্রমাণ দিচ্ছে। মিনু শাড়ির কর্ণধার ও মমরাজ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ব্রহ্মানন্দ আগরওয়াল বলেন, মানুষ হিসেবে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমরা বোধনা হোমের সঙ্গে যুক্ত। এখানে একশ র বেশি শিশু কিশোর আছে। সংখ্যা বাড়ছে। তাই প্রয়োজন ছিল আবাসের সম্প্রসারণ সেই কাজ আমরা করছি। এই মহান ব্রতে আমরা ছিলাম, আছি, থাকব।