২৬ রাজ্যে ,২ হাজার রকমের ওষুধ এখন হাজার দোকানে মিলছে দাবা ইন্ডিয়ার জেনেরিক ওষুধ

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: স্বাধীনতার পরবর্তী সময়েও ভারতে ওষুধ ছিল বিদেশি কোম্পানি নিয়ন্ত্রিত।প্রায় ৯০ শতাংশ মার্কিন ও ইউরোপিয়ান নির্মাতাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল ।১৯৬০ নাগাদ ভারতের প্রশাসন দেশীয় ওষুধ নির্মাণকারীদের উৎসাহিত করতে শুরু করে।১৯৮০ পর্যন্ত ভারতীয় ওষুধ নির্মাণকারী সংস্থা বাড়তে থাকে। ২০০৬ এর মধ্যেই ভারতীয় কোম্পানিগুলি দেশীয় বাজারের ৯৫ শতাংশ দখল করে। ইতিমধ্যে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের দাবিতে এক ওষুধ এক গুণমান ও এক মূল্য নির্ধারণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ইতিমধ্যে জেনেরিক ওষুধের প্রয়োজনীয়তা বিশ্ব জুড়েই স্বীকৃতি পেতে শুরু করে। যার আঁচ ভারতেও পড়ে।

ভারতীয় প্রশাসনের সংস্থা এন এম সি সমস্ত চিকিৎসকদের ব্র্যান্ড ওষুধের বদলে জেনেটিক ওষুধ প্রেসক্রাইব করার কথা বললেও ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের আপত্তি কাজ করে। আই এম এর দাবি জেনেরিক ওষুধের গুণমানের নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে। দাবা ইন্ডিয়া এমন এক খুচরো বাজারে জেনেরিক ওষুধ নির্মাণ ও বিপণন সংস্থা। ইতিমধ্যে দেশের ১২ টি রাজ্যে প্রায় ২ হাজার রকমের ওষুধের হাজারটি খুচরো বিক্রির দোকানে বিপণন শুরু করেছে। এই মূহূর্তে বাঙলার প্রান্তিক গ্রামাঞ্চলেও দাবা ইন্ডিয়া বিপণন শুরু করে দিয়েছে।

শুক্রবার নিউটাউনের এক বিলাসবহুল হোটেলে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দাবা ইন্ডিয়া মিলিত হন। উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সি ই ও সুজিত পাল। তিনি বলেন, কমদামে ব্র্যান্ডের ওষুধের সমান গুণমানের প্রায় ২ হাজার রকমের ওষুধ মিলছে দাবা ইন্ডিয়ার পতাকার নিচে।তিনি আরও বলেন, ভারতে খাদ্য , শিক্ষা আর স্বাস্হ্য খাতে রোজগারের বেশিটাই খরচ করে ফেলে। ফলে সঞ্চয় নেই। ভবিষ্যত বিপদজনক। দাবা ইন্ডিয়া তাই সস্তায় সঠিক গুণমান বজায় রেখে ওষুধ নির্মাণ ও বিপণনে ব্রতী। এমনকি ব্র্যান্ডেড ওষুধ যে সব সংস্থায় তৈরি হয় , দাবা ইন্ডিয়ার ওষুধও সেই সংস্থায় তৈরি হয়। আগামীদিনে জন সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপশি প্রবল চাহিদার জেনেরিক ওষুধ বিপণি তৈরির উৎসাহ দিয়ে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যেও কাজ করছে দাবা ইন্ডিয়া। রাজ্যের বহু জেলা থেকে উৎসাহী ব্যাবসায়ীরা এসে এদিন দাবা ইন্ডিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি গ্রহণ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *