এক্সপ্লোডিয়া ২.০ জীবনশৈলী ও ফ্যাশন প্রদর্শনী সল্টলেকে

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক:। সময়টা ১৮৫৮। চার্লস ফ্রেডেরিক ওয়ার্থ প্রথম পেশাদার ডিজাইনার হিসেবে পোশাক নির্মাণ করে লেভেল সেলাই করেন । কিন্তু মানুষ যখন পাতার পোশাক ছেড়ে প্রায় মানুষ হয়ে উঠল ফ্যাশন বোধহয় তখন থেকেই শুরু। শিকার করা পশুর চামড়ার পোশাক সঙ্গে অভক্ষ্য পশুর দেহের হাড়ের গয়না ছিল নারী পুরুষের প্রসাধন। ফ্রান্সে তো একটা সময়ে অর্থাৎ ১৭৯০/৯৩ নাগাদ বিখ্যাত ফ্যাডিজাইনার রোজ বার্টিন কে বলা হতো ফ্যাশন মন্ত্রী। সেইসময়ে তিনি ফ্রান্সের রাণী মেরি আন্তয়েনেটের নিজস্ব ডিজাইনার ছিলেন।

আমাদের দেশে লৌকিক সংস্কৃতির হাত ধরে রাজ্যে রাজ্যে নিজস্ব ফ্যাশন গড়ে ওঠে। ফ্যাশনের ব্যাপকতা বাড়ে মুম্বাই চলচ্চিত্রের হাত ধরে। ভানু অ্যাথাইয়ার সাহেব বিবি গুলাম(১৯৬২) থেকেষাটের দশকে শর্মিলা ঠাকুরের জলকেলির পোশাক বিকিনি তো বিপ্লব ঘটায়। এরপর তো ইতিহাস।৮০ র শুরুতে ভারতীয় ফ্যাশন ডিজাইনারদের অনির্বাণ।উল্লেখযোগ্য নাম রোহিত খোসলা।২০১০ থেকে ফ্যাশন ছেলেদের জন্যও আবশ্যিক হয়ে ওঠে। কলকাতার এখন পরিচিত ফ্যাশন ডিজাইনার জন সেনগুপ্ত। বেশ কিছু বছর ধরে তিনি গড়ে তুলেছেন ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের শিক্ষাকেন্দ্র এন আই এফডি গ্লোবাল। সল্টলেক সিটি সেন্টারের কাছে এই কেন্দ্রে ১৯ ও ২০ জুলাই দুদিনব্যাপঅনুষ্ঠিত হল ফ্যাশন ও লাইফ স্টাইল প্রদর্শনী এক্সপ্লোডিয়া ২.০। সংস্থার প্রধান জানালেন তাঁর শিক্ষার্থীরা প্রদর্শনীর জন্য আলাদা কিছু শিল্প নির্মাণ করেননি। সারা বছর তাঁরাযে সৃষ্টিসুখের উল্লাসে বিভোর থাকেন সেইসব ডিজাইন তাঁরা প্রদর্শনীতে রেখেছেন।

প্রথমদিনের অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করেন অভিনেত্রী পারিজাত চৌধুরী। ছিলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কস্টিউম ডিজাইনার সাবর্ণী দাস, অভিনেত্রী ও পরিচালিকা অপরাজিতা ঘোষ, মডেল রুনা লাহা, নৃত্যশিল্পী শ্যামল মল্লিক, সাংবাদিক ও উদ্যোক্তা রেশমি বাগচি ও মিনি ক্লাব এক্সপোর্টসের ব্যবস্থাপক পরিচালক রণিত আগরওয়াল। আয়োজিত হয় একটি সেমিনার। দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে জাতিগত নিত্য পরিহিত পোশাকের সংগ্রহের সঙ্গে ডেনিম ক্যুচার গাউন ও অ্যাভান্ট – গার্ড ডিজাইনএবং অন্যান্য শৈল্পিক সংগ্রহ প্রদর্শনীতে স্থান পায়। জন সেনগুপ্ত জানালেন, শিক্ষার্থীরা বছর জুড়ে যা শেখেন তার নমুনা তুলে ধরেন প্রদর্শনীতে। শিক্ষার্থীরা এখানে পাঠ সমাপ্ত করলে চাকরি ও নিজস্ব উদ্যোগ গড়ে তোলার সহযোগিতা পান। এইশিক্ষা সংস্থার খ্যাতি এখন রাজ্য দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও পৌঁছে গেছে। জীবন জীবিকার এক সহায়ক ফ্যাশন ডিজাইনিং ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *