*
শ্রীজিৎ চট্টরাজ : পুরষ্কার তিরষ্কার কলঙ্ক কণ্ঠের হার । জীবনে আক্ষরিক অর্থে কিছু পুরষ্কার আর কিছু তিরষ্কার পায়নি এমন মানুষের দেখা মেলা ভার। তিরষ্কার প্রাপ্তিটা হয়ত মাচা বেঁধে কারও হয়নি , পুরস্কারও অনেকের ঘটা করে মেলে নি। তবু মেধা, পারদর্শিতা কিংবা উৎকর্ষতার একটা প্রাপ্তি যখন সমাজ দেয় তখন সেটা একটা অন্য মাত্রা পায়। নোবেলপ্রাপ্তির খবর শান্তি নিকেতনে পৌঁছলে সাড়া পড়ে যায় সেখানে। বিষয়টি জেনে শান্ত কন্ঠে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, তোমাদের এই আবেগ উত্তেজনার মায়া ছাড়া কিছু নয়। তাই তিনি সেই আদর ও সম্মানের সুরাপাত্র ওষ্ঠের কাছ পর্যন্ত ঠেকালেও তাকে অন্তরে গ্রহণ করতে পারবেন না । এ মত্ততাথেকে আমি চিত্তকে দূরে রাখতে চাই। আসলে অনেক গ্লানি , অপপ্রচার কবির জীবনে যেদাগ কেটেছিল তাঁর মন্তব্যে ছিলতারই বহিঃপ্রকাশ।
আজও বহু মানুষ আছেন ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে সমাজের কাজে কিছু করেন , মানবতার দায়বদ্ধতার ঋণ মুক্তি ঘটান ।আবার এমন কিছু মানুষ আছেন যাঁরা এই সব মানুষদের খুঁজে সমাজের কাছে তুলে ধরেন, স্বীকৃতি দেন সংগঠনগত ভাবে। এমনই এক সংস্থা রাবীন্দ্রিক বর্ণ গুচ্ছ দিয়ে নির্মাণ গীতাঞ্জলি। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উত্তরণে যে সংগঠন বছরভর কাজ করে , কয়েকবছর ধরে তারা নিবেদন করছে বেঙ্গল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড। সম্প্রতি কলকাতার বাইপাসের ধারে এক বিলাস বহুল ব্যাঙ্কয়েট হলে উদযাপন করল বেঙ্গল এক্সিলেন্সঅ্যাওয়ার্ড ২০২৪। অনুষ্ঠানে সম্মানিত করা হয় গায়িকা ঊষা উত্থুপ, নৃত্যশিল্পী তনুশ্রীশঙ্কর, শিক্ষাবিদ শ্যামলাল গাঙ্গুলি, প্রাক্তন ফুটবলার গৌতম সরকার, চিকিৎসক অমিতাভ চন্দ্র, প্রকৃতি আলোক চিত্রী অনুপম হালদার, মোহনবাগান এ্যাথলেটিক ক্লাব, আই এস এল হাসপাতালকে। তালিকায় ছিলেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী অলক কুমার আড্ডি, বাংলাদেশের সমাজকর্মী তরফদার মহম্মদ রাহুল আমিন ও পানিহাটি সেন্ট জেভিয়ার্স ইনস্টিটিউশন।
গীতাঞ্জলি সংগঠনের সম্পাদক সুব্রত সিনহা বলেন বাংলার শিক্ষা, স্বাস্হ্য , ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আঙ্গিনায়। আমরা এঁদের সম্মানিত করে নিজেরা সম্মানিত হয়েছি। অনুষ্ঠানের মান বাড়ে যখন উপস্থিত থাকেন ড: পবিত্র সরকার, ড: ভাস্কর গুপ্ত, সমাজসেবী লক্ষ্মী দাস, কাশীনাথ দাস । গীতাঞ্জলির পক্ষে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুব্রত সিনহা , মৌমিতা পাঞ্চাল প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সতীনাথ মুখার্জি।