দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : নহলীর উনবিংশতম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ২২ ও ২৩ মে, দু’দিন ব্যাপী তৃপ্তি মিত্র নাট্যগৃহে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল তাদের নাট্যোৎসব। যার শিরোনাম ছিল নাট্য জলসা। প্রথম দিন ইচ্ছে ডানার পরিবেশনায় মঞ্চস্থ হয়, মা নয় অন্য মা এবং নহলীর পরিবেশনায় মধুবংশীর গলি নাটকটি। দ্বিতীয় দিন মঞ্চস্থ হয় দুটি নাটক। নহলীর কাক কথা এবং টালিগঞ্জ স্বপ্নমৈত্রীর জাদু কি ঝাপপি।
মা নয় অন্য মা নাটকটির রচনা নির্দেশনা ও একক অভিনয়ে ছিলেন জবা শর্মা। শ্বশুর বাড়ি থেকে বিতাড়িত একটি বাঁজা মহিলার গল্প উঠে আসে এই নাটকে। সে বাবার কাছে ফিরে আসার কিছুদিনের মধ্যেই বাবা মারা যায়। তার পৈতৃক বাড়িতে সে মহিলাদের একটি মেস বাড়ি চালায়। সেখানে থাকে নানা বয়সী মেয়েরা। সেখানেই তারা এক অপরের জীবনের সুখ দুঃখের গল্প ভাগ করে নেয়। মধুবংশীর গলি নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় অপু আইচ। মধুবংশীর গলি এক আদর্শবান শিক্ষকের গল্প। পাশাপাশি এ নাটক এক ছাত্রের গল্পও বলে। যে তার প্রিয় মাস্টারমশাইয়ের ছাঁচেই নিজেকে গড়তে চেয়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে তার সামনে উন্মোচিত হয় মাস্টারমশাইয়ের অন্য রূপ। শৈবাল দাস পরিচালিত নহলীর কাক কথা নাটকে বলা হয় বহু পরিচিত কাক আর কুঁজোর গল্পই। তবে তা নির্মাণ করা হয় বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে। জাদু কি ঝাপপি নাটকটির নাটককার সুদীপ্ত ভৌমিক। নির্দেশনায় ইন্দ্রনীল দে। টেনশন বিরক্তি উদ্রেক সৃষ্টিকারী সকল সমস্যাকে দূরে সরিয়ে জীবনে একটুখানি হালকা বাতাস এনে দিতে হাজির বিশ্বনাথ। হিন্দি সিনেমা মুন্নাভাইয়ের ফর্মুলা ধার করে সে তার হাগ বার নিয়ে মেলার মাঠে হাজির হয়। পঞ্চাশ টাকার বিনিময়ে মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে বিলিয়ে চলে জাদু কি ঝাপপি। কিন্তু এই জাদু কি ঝাপপি আসলে কি? এই রহস্যই উন্মোচিত হয় এই নাটকে। নাট্য জলসা উৎসবের প্রথম দিন সম্মাননা প্রদান করা হয় নাট্য ব্যক্তিত্ব উদয় চাঁদ হালদারকে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নৃত্য, নাটক, সঙ্গীত ও দৃশ্যকলা আকাদেমির সদস্য সচিব, ড. হৈমন্তী চট্টোপাধ্যায়, বিশেষ অতিথি মুরারী রায় চৌধুরী, এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃতি মজুমদার, দেবাশিষ দত্ত এবং অতনু সরকার।