দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : গরমের ছুটির দুপুরে বাংলার শিক্ষক শিক্ষিকারা বিশ্রাম নিচ্ছিলেন দুপুরে। হঠা যেন মাথায় ছাদ ভেঙে পড়ল। দিনটি ছিল ২০২৩:এর ১২ মে। শুনলেন ভগবান অবতারের এক আদেশে রাজ্যের ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকারা তাঁদের চাকরি হারিয়েছেন। কি তাঁদের অপরাধ? আদেশ যখন আদালতের তখন আইনি পথেই তার প্রতিবাদ করতে হবে এটাই সাংবিধানিক তত্ত্ব। অতএব তখন থেকে অস্তিত্বহীন নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত বাংলার ৩২ হাজার তরুণ তরুণীর শুরু নতুন নবসেই সংগ্রাম আজও চলছে।সংগ্রাম। বেশ কয়েকজন কর্মচ্যূত শিক্ষক শিক্ষিকা প্রাণ হারিয়েছেন হতাশা আর উৎকণ্ঠাকে বুকে পুষে।
সম্প্রতি কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনেনিজেদের কথা বলতে হাজির হন নিজেদের সংগ্রামী ব্যানারের মঞ্চের পক্ষ থেকে।
৩২ হাজার কর্মচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রতিনিধিরা যাবতীয় প্রামাণ্য নথি দেখিয়ে জানালেন, আমরা তৎকালীন প্রশাসনিক সব নিয়ম নীতি মেনে সমাজ গড়ার কারিগর হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করলাম, সাত বছর পর জানলাম আমরা অপরাধী। আমরা নাকি অসৎ উপায়ে চাকরি নিয়েছি। কে দিলেন নিদান? নিদান দিলেন যিনি ভগবান হয়ে দেখা দে়ন, তারপর রাজনীতির দোলনায় দোল খেয়ে বিধাতা হওয়ার ইচ্ছায় দিল্লিতে গেলেন নিজের হিল্লে করতে। আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখলাম।। মানুষের কাছে এমন একটা বার্তা পরিকল্পনা করে ছড়িয়ে দেওয়া হলো আমরা অযোগ্য শুধু নই , প্রতারকও বটে।২০১৭ শিক্ষক শিক্ষিকা মন্ডলী একতা মঞ্চ আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সুস্মিতা মল্লিক, শেখ নাসিব আলি, শঙ্কর কর্মকার, ধ্রুবজ্যোতি পাঠক। ছিলেনএক দৃষ্টিহীন শিক্ষক । বক্তারা সকলেই বলেন, আর্থিক অনিশ্চয়তার সঙ্গে মানসিক পীড়নেআমরা কাতরহলেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে আমাদের ন্যায্য অধিকার ছিনিয়ে আনবই।